ঢাকা, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশাল কর্মযজ্ঞে নেমেছে ইসি
.jpg)
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহের একটি বড় ধাপ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় ৮০ লাখ ৫ হাজার পিস ব্যাগ, সিল ও ব্যালট বাক্সের লক এবং ২৩ হাজার কেজি লাল গালা ক্রয়ের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই প্রস্তুতিকে একটি "বিশাল কর্মযজ্ঞ" হিসেবে অভিহিত করে বলেন, "জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ সঠিক সময়ে সংগ্রহ করা আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। স্বচ্ছতার সঙ্গে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা এই ক্রয়াদেশ চূড়ান্ত করেছি।" তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই বিপুল পরিমাণ নির্বাচনী উপকরণ ইসির কাছে হস্তান্তর করবে।
আট ধরনের উপকরণ সংগ্রহ চলছে
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মোট আট ধরনের নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে সাত ধরনের মালামাল তৈরির কাজ ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো শুরু করে দিয়েছে। পণ্যের একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
- লাল গালা: ২৩ হাজার কেজি
- স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক: ৫০ লাখ পিস
- অফিসিয়াল সিল: ৮ লাখ ৪০ হাজার পিস
- মার্কিং সিল: ১৭ লাখ ৫০ হাজার পিস
- গানি ব্যাগ: ১ লাখ ১৫ হাজার পিস
- হেসিয়ান বড় ব্যাগ: ৭০ হাজার পিস
- হেসিয়ান ছোট ব্যাগ: ১ লাখ ১৫ হাজার পিস
- ব্রাস সিল: ১ লাখ ১৫ হাজার পিস (টেন্ডার পুনরায় আহ্বান)
জানা গেছে, মানসম্মত না হওয়ায় ব্রাস সিলের টেন্ডার এর আগে দুবার বাতিল করা হয়েছে। এটি ক্রয়ের জন্য নতুন করে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে যা ৫ আগস্ট খোলা হবে।
গুণগত মান ও সময়সীমা নিশ্চিতকরণ
এই বিশাল কেনাকাটা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, "ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মালামাল সরবরাহের জন্য ৫৬ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, এই সময়ের মধ্যেই সব উপকরণ হাতে পাব।"
গুণগত মান নিশ্চিত করার বিষয়ে তিনি জানান, "প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য আমরা সুনির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন দিয়েছি। সেই অনুযায়ী নমুনা জমা নেওয়া হয়েছে এবং কমিটি তা অনুমোদন করেছে। চূড়ান্তভাবে মালামাল বুঝে নেওয়ার সময় আমরা অনুমোদিত নমুনার সঙ্গে মিলিয়েই নেব।"
এছাড়াও, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) অমোচনীয় কালি এবং স্ট্যাম্প প্যাড সরবরাহ করে ইসিকে সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।
তফসিল ও সার্বিক প্রস্তুতি
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখেই সমস্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে এবং প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী কাজ এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, "সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে বেশিরভাগ প্রস্তুতি শেষ করা হবে। তবে তফসিল ঘোষণার বিষয়টি একান্তই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত।"
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- শেয়ারবাজারে বড়দের দাপট, ছোটদের পিছুটান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৪ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- বিকালে আসছে ২১ কোম্পানির ইপিএস
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- শিবলী রুবাইয়াত ও শেখ শামসুদ্দিন শেয়ারবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা