ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
গ্রিনল্যান্ড এবং পানামা খাল দখলে নিতে ট্রাম্পের বার্তা

ডুয়া ডেস্ক : নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গ্রিনল্যান্ড এবং পানামা খাল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এগুলোকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য মনে করেন।
তবে ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত এলাকা গ্রিনল্যান্ড বা পানামা খাল অধিগ্রহণে সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহারের প্রশ্নে তিনি কোনো নিশ্চয়তা দেননি। তিনি বলেন, "না, আমি এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। তবে আমি এটা বলতে পারি, অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য এগুলো আমাদের দরকার।"
মঙ্গলবার ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
এদিকে, ডেনমার্ক এবং পানামা উভয়েই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা তাদের অঞ্চল ছাড়বে না।
ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার চেষ্টা করতে তিনি "অর্থনৈতিক শক্তি" ব্যবহার করবেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তকে "কৃত্রিমভাবে আঁকা রেখা" বলেছেন।
এই দুই দেশের মধ্যকার সীমান্ত বিশ্বে যেকোনো দুই দেশের মধ্যকার সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত। ১৭০০ সালের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় করা চুক্তিতে এই সীমান্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল।
ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কানাডাকে রক্ষায় প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। তিনি কানাডার গাড়ি, কাঠ ও দুগ্ধপণ্য আমদানির সমালোচনা করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "তাদের আমাদের রাজ্য হওয়া উচিত।"
তবে বিদায়ী কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো স্পষ্ট করে বলেন, দুই দেশের একীভূত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, "এটার কোনো সম্ভাবনাই নেই।"
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প পরিবেশগত নিয়ম, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ব্যবস্থা এবং তার বিরুদ্ধে চলমান বিভিন্ন মামলা নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করেন।
তিনি মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে "আমেরিকা উপসাগর" রাখার প্রস্তাব দেন। এছাড়া, বায়ু শক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, "বায়ুচালিত টারবাইন তিমিদের পাগল বানাচ্ছে।"
এই সময় ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র গ্রিনল্যান্ড সফরে ছিলেন। গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক যাওয়ার আগে তিনি জানান, এটি তার ব্যক্তিগত সফর। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন, তবে কোনো সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা তার নেই।
ট্রাম্পের ছেলের সফর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডেরিকসেন ডেনিশ টেলিভিশনে বলেছেন, "গ্রিনল্যান্ড গ্রিনল্যান্ডবাসীর।" তিনি জানান, কেবল স্থানীয় জনগণই এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।
তিনি একমত যে, "গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়।" তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ন্যাটো মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ডেনমার্কের প্রয়োজন।
গ্রিনল্যান্ড উত্তর আমেরিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে ছোট রুটে অবস্থিত। সেখানে একটি বড় আমেরিকান মহাকাশ স্থাপনা রয়েছে। এছাড়া, গ্রিনল্যান্ডে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিরল খনিজ সম্পদের মজুদ রয়েছে, যা ব্যাটারি এবং আধুনিক প্রযুক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৬৫ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- শেয়ারবাজারে চলছে বহুজাতিক কোম্পানির ডিভিডেন্ড উৎসব
- সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ঢাবির হলে ধূমপায়ীদের সিট না দেওয়ার ঘোষণা; প্রশংসায় ভাসছেন প্রভোস্ট
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- ইপিএস প্রকাশ করার তারিখ জানাল ১৫ প্রতিষ্ঠান
- স্টক ডিভিডেন্ড পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি