ঢাকা, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
ছাত্রলীগে শিবিরের ভূমিকা নিয়ে সাবেক সমন্বয়কের অভিযোগ ভাইরাল
.jpg)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের শনিবার (২ আগস্ট) মন্তব্য করেছেন, “শিবিরের যেসব ছাত্ররা গুপ্তভাবে ছাত্রলীগে প্রবেশ করত, তারাই সবচেয়ে আগ্রাসী ছিল। হলে হলে ছাত্র নির্যাতন ও ‘শিবির ট্যাগ’ দিয়ে নিপীড়নে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিবির থেকে আগত ছাত্রলীগকর্মীরাই এগিয়ে ছিল।”
তাঁর এই বক্তব্যে আরও কয়েকজন সাবেক সমন্বয়ক সমর্থন প্রকাশ করেন, আর নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। এরপর রোববার (৩ আগস্ট) আব্দুল কাদের ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েমের সঙ্গে চ্যাটিংয়ের একটি স্ক্রিনশট ফেসবুকে প্রকাশ করেন। যদিও সাদিক দাবি করেন, ওই চ্যাট তার সঙ্গে হয়নি। কাদের অভিযোগ করেন, ওই আলাপে সাদিক ছাত্রলীগের কিছু নির্যাতনকারীর জন্য তদবির করেছিলেন।
এই ঘটনার পর বিতর্ক আবারও শুরু হয়। সাদিক কায়েম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ‘স্ক্রিনশট পলিটিক্স’-এর বিরুদ্ধে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘যদি স্ক্রিনশট পলিটিক্স শুরু হয়, তাহলে অনেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হতে পারে।’ এছাড়া তিনি বলেন, ‘কাদের যে স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন, তা তার সঙ্গে হয়নি, এটি অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে হয়েছিল। কাদেরের এই কাজ একটি ঘৃণ্য সংস্কৃতির সূচনা করেছে।’
সাদিক আরও উল্লেখ করেন, এই ধরনের স্ক্রিনশটের অপব্যবহার ছাত্ররাজনীতিতে অবিশ্বাস ও অনাস্থার সৃষ্টি করবে, যা দীর্ঘমেয়াদে রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর।
জবাবে সাদিক জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের পর মামলার তালিকা তৈরি করার সময় নেতাদের মধ্যে তথ্য শেয়ার করা হয়েছিল। স্ক্রিনশটে যাদের নাম এসেছে, তারা ৫ আগস্টের সময় শিবিরের পদে ছিলেন না। তিনি ‘সাঈদী’ নামের একজনকে মামলার তালিকা থেকে বাদ দিতে তদবির করেছেন—এ দাবি ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দেন।
অপরদিকে, আব্দুল কাদের বলেন, ৫ আগস্টের পর হলে হলে ছাত্রলীগের নিপীড়কদের তালিকা তৈরি করতে সাদিকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। কাদের অভিযোগ করেন, সাদিক তানভীর হাসান শান্ত ও হাসান সাঈদীর নামে কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তাব পেলে “তোমরা দাও” বলেছেন, কিন্তু তাদের নাম তালিকায় উঠেনি।
কাদের আরও বলেন, সাঈদী ছাত্রলীগের হয়ে নানা অপকর্মে জড়িত ছিলেন, পরে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কৃত হন, শিবিরে সক্রিয় হন। তিনি অভিযোগ করেন, সাদিক শিক্ষার্থীদের ফোন দিয়ে সাঈদীকে ছেড়ে দেওয়ার তদবির করেন।
অবশেষে কাদের অভিযোগ করেন, শিবির থেকে আগত নেতাকর্মীরা জোরপূর্বক ছাত্রলীগের গেস্টরুম, মিছিল ও সভায় অংশগ্রহণ করাতো, পদ পাওয়ার জন্য তারা ছাত্রলীগের মুখাবয়ব ধারণ করতো। চরম নির্যাতন চালানো অনেকেই শিবিরে আবার সক্রিয়। ব্যাচ প্রতিনিধি নির্বাচনেও অনলাইন কারচুপি করে শিবিরপন্থিরা নিজেদের লোক বসিয়েছে, যারা মামলা প্রক্রিয়াতেও প্রভাব বিস্তার করেছে।
কাদের বলেন, ‘জুলাইয়ের হামলার পর শিবির ও ছাত্রলীগ উভয়ের তদবির ও নিজেদের লোক বাঁচানোর চেষ্টা একসাথে কাজ করেছে।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘শিবির বলছে তাদের কেউ ছাত্রলীগে ছিল না, তাহলে তারা কেন তাদের হল কমিটি ও শাখা কমিটির তালিকা প্রকাশ করছে না?’
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- শেয়ারবাজারে বড়দের দাপট, ছোটদের পিছুটান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৪ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- বিকালে আসছে ২১ কোম্পানির ইপিএস
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- শিবলী রুবাইয়াত ও শেখ শামসুদ্দিন শেয়ারবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা