ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২
বিপৎসীমার উপরে ১১ নদীর পানি, তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের কারণে টানা ভারী বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১১টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এতে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগীয় নদনদীর পানি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি প্রধান নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, যেসব নদীতে বিপৎসীমার ওপরে পানি প্রবাহিত হচ্ছে সেগুলো হলো:- কীর্তনখোলা নদী (বরিশাল): ৩০ সেন্টিমিটার ওপর, বিষখালী পয়েন্ট (ঝালকাঠি): ১৬ সেন্টিমিটার ওপর, বিষখালী পয়েন্ট (বেতাগী, বরগুনা): ৫২ সেন্টিমিটার ওপর, সুরমা-মেঘনা পয়েন্ট (দৌলতখান, ভোলা): ৮২ সেন্টিমিটার ওপর, সুরমা-মেঘনা পয়েন্ট (তজুমদ্দিন, ভোলা): ১৬৫ সেন্টিমিটার ওপর, বুড়িশ্বর/পায়রা পয়েন্ট (মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী): ২৯ সেন্টিমিটার ওপর, বুড়িশ্বর/পায়রা পয়েন্ট (আমতলী, বরগুনা): ১৮ সেন্টিমিটার ওপর, বিষখালী পয়েন্ট (বরগুনা): ৩১ সেন্টিমিটার ওপর, বিষখালী পয়েন্ট (পাথরঘাটা, বরগুনা): ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর, কচা নদী (উমেদপুর): ২৩ সেন্টিমিটার ওপর, বলেশ্বর পয়েন্ট (পিরোজপুর): ৩২ সেন্টিমিটার ওপর।
এই নদীগুলোর পানি বাড়তে থাকায় তীরবর্তী অনেক নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এতে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার। আগামী দুই-তিন দিন এ অবস্থার অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সব নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো স্বাভাবিক রয়েছে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নদী বন্দরের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন। তবে সতর্কতার অংশ হিসেবে ভোলা-ইলিশা রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম জানান, অমাবস্যার প্রভাবে নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনো বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প