ঢাকা, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

বিপৎসীমার উপরে ১১ নদীর পানি, তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুলাই ২৬ ১০:০৭:২০
বিপৎসীমার উপরে ১১ নদীর পানি, তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের কারণে টানা ভারী বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১১টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এতে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগীয় নদনদীর পানি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি প্রধান নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, যেসব নদীতে বিপৎসীমার ওপরে পানি প্রবাহিত হচ্ছে সেগুলো হলো:- কীর্তনখোলা নদী (বরিশাল): ৩০ সেন্টিমিটার ওপর, বিষখালী পয়েন্ট (ঝালকাঠি): ১৬ সেন্টিমিটার ওপর, বিষখালী পয়েন্ট (বেতাগী, বরগুনা): ৫২ সেন্টিমিটার ওপর, সুরমা-মেঘনা পয়েন্ট (দৌলতখান, ভোলা): ৮২ সেন্টিমিটার ওপর, সুরমা-মেঘনা পয়েন্ট (তজুমদ্দিন, ভোলা): ১৬৫ সেন্টিমিটার ওপর, বুড়িশ্বর/পায়রা পয়েন্ট (মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী): ২৯ সেন্টিমিটার ওপর, বুড়িশ্বর/পায়রা পয়েন্ট (আমতলী, বরগুনা): ১৮ সেন্টিমিটার ওপর, বিষখালী পয়েন্ট (বরগুনা): ৩১ সেন্টিমিটার ওপর, বিষখালী পয়েন্ট (পাথরঘাটা, বরগুনা): ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর, কচা নদী (উমেদপুর): ২৩ সেন্টিমিটার ওপর, বলেশ্বর পয়েন্ট (পিরোজপুর): ৩২ সেন্টিমিটার ওপর।

এই নদীগুলোর পানি বাড়তে থাকায় তীরবর্তী অনেক নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এতে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি ও রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার। আগামী দুই-তিন দিন এ অবস্থার অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সব নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো স্বাভাবিক রয়েছে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নদী বন্দরের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন। তবে সতর্কতার অংশ হিসেবে ভোলা-ইলিশা রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম জানান, অমাবস্যার প্রভাবে নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনো বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত