ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২

সাবেক এমপিদের বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে বিপাকে কাস্টমস

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুলাই ২৫ ১৮:২৩:০৬
সাবেক এমপিদের বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে বিপাকে কাস্টমস

সাবেক সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ২৪টি বিলাসবহুল গাড়ি চট্টগ্রাম কাস্টমসের জন্য এক জটিল সমস্যায় পরিণত হয়েছে। নিলামে তুলেও প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় গাড়িগুলো নিয়ে এখন বিকল্প ভাবছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে এক বৈঠক শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানান, নিলামে গাড়িগুলোর কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া যায়নি। তাই জলের দরে এগুলো বিক্রি করতে তারা রাজি নন। তিনি বলেন, “সরকারি কিছু সংস্থা ৬০ শতাংশ দামে গাড়িগুলো কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে প্রতিটি গাড়ির মূল্য যেখানে ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা, সেখানে ন্যায্য দাম না পেলে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা করে এগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে গাড়িগুলো প্রথমবার নিলামে তোলা হয়েছিল। কিন্তু ২৪টি গাড়ির মধ্যে ১০টির জন্য কোনো দরই জমা পড়েনি। বাকি ১৪টির ক্ষেত্রে যে দাম উঠেছে, তা সংরক্ষিত মূল্যের মাত্র ১০ থেকে ৩২ শতাংশ। এমনকি গাজীপুর-৫ আসনের সাবেক এমপি আখতারউজ্জামানের ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা মূল্যের ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটির দাম উঠেছিল মাত্র ১ লাখ টাকা।

এই হতাশাজনক অভিজ্ঞতার পর দ্বিতীয়বার নিলাম আয়োজনে অনাগ্রহী চট্টগ্রাম কাস্টমস। গত ১১ মার্চ এনবিআরের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয়বার নিলাম করলে আরও কম দাম ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে, আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছেই গাড়িগুলো বিক্রি করতে হবে, যা বড় ধরনের রাজস্ব ক্ষতির কারণ হতে পারে। একারণে দ্বিতীয় নিলামের আগে এনবিআরের নির্দেশনা চেয়েছে তারা।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তৎকালীন সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় এই গাড়িগুলো আমদানি করেন। কিন্তু গত ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর এনবিআর এই সুবিধা বাতিল করে। এরপরই সাবেক এমপিরা গাড়িগুলো বন্দরে ফেলে রেখে যান, যা এখন কাস্টমসের জন্য বড় দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত