ঢাকা, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২
ফোন কেনার আগে যেসব বিষয় দেখা জরুরি

নতুন স্মার্টফোন কেনার সময় স্পেসিফিকেশন শিট দেখে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন—বেশি র্যাম (RAM) থাকা ভালো, নাকি বেশি রম (ROM)? ফোনের গতি এবং কার্যক্ষমতা অনেকাংশেই এই দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। আপনার ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী কোনটি বেশি প্রয়োজন, তা সহজভাবে জেনে নেওয়া যাক।
র্যাম ও রম: সহজ ভাষায় পার্থক্য
র্যাম (RAM): ফোনের কর্মক্ষমতা ও গতি
RAM-এর পূর্ণরূপ: Random Access Memory
কাজ কী?: র্যাম হলো ফোনের অস্থায়ী বা স্বল্পমেয়াদী মেমোরি। আপনি যখন কোনো অ্যাপ খোলেন, গেম খেলেন বা ফোনে কোনো কাজ করেন, তখন সেই ডেটা সাময়িকভাবে র্যামের মধ্যে সক্রিয় থাকে। একে একটি ডেস্ক বা টেবিলের সাথে তুলনা করা যেতে পারে; টেবিল যত বড় হবে, তত বেশি জিনিসপত্র ছড়িয়ে রেখে এক সাথে কাজ করা যাবে।
র্যাম বেশি হলে সুবিধা:
একই সময়ে একাধিক অ্যাপ মসৃণভাবে চালানো যায় (মাল্টিটাস্কিং)।অ্যাপ দ্রুত খোলে এবং এক অ্যাপ থেকে অন্য অ্যাপে যেতে ফোন ধীরগতির হয় না।ফোন হ্যাং করা বা আটকে যাওয়ার প্রবণতা কমে।
রম (ROM): আপনার ফোনের স্টোরেজ বা সংরক্ষণ ক্ষমতা
ROM-এর পূর্ণরূপ: Read-Only Memory। তবে স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে এটি মূলত ইন্টারনাল স্টোরেজ বা সংরক্ষণ ক্ষমতা বোঝাতেই ব্যবহৃত হয়।
কাজ কী?: রম হলো আপনার ফোনের স্থায়ী মেমোরি, যা একটি ফাইল ক্যাবিনেট বা আলমারির মতো। এখানে আপনার ছবি, ভিডিও, গান, ডকুমেন্টস এবং ইনস্টল করা সমস্ত অ্যাপ ও গেম স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে।
রম বেশি হলে সুবিধা:
বেশি পরিমাণে ছবি, ভিডিও এবং ফাইল সংরক্ষণ করা যায়।বড় আকারের গেম ও অ্যাপ ইনস্টল করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে।অপারেটিং সিস্টেম (Android/iOS) আপডেটের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা ফাঁকা থাকে।আপনার প্রয়োজন কোনটি? র্যাম নাকি রম?
কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার ফোন ব্যবহারের ধরনের ওপর।
সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য:আপনি যদি মূলত ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং ছবি তোলার মতো সাধারণ কাজ করেন, তাহলে ৪ জিবি থেকে ৬ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি থেকে ১২৮ জিবি রম আপনার জন্য যথেষ্ট।
পাওয়ার ইউজার বা গেমারদের জন্য:আপনি যদি হাই-গ্রাফিক্স গেম খেলেন, ভিডিও এডিটিং করেন বা একই সাথে অনেকগুলো ভারী অ্যাপ ব্যবহার করেন, তবে আপনার জন্য ৮ জিবি বা তার বেশি র্যাম জরুরি। পাশাপাশি, বড় আকারের গেম এবং 4K ভিডিও রাখার জন্য ১২৮ জিবি বা তার বেশি রম প্রয়োজন হবে।
র্যাম বা রম কম হলে কী সমস্যা হয়?
র্যাম কম হলে: অ্যাপ খুলতে দেরি হয়, ফোন বারবার আটকে যায় এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা অ্যাপগুলো নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়, ফলে আবার নতুন করে খুলতে হয়।
রম কম হলে: বারবার ‘Storage Full’ নোটিফিকেশন আসে, নতুন কোনো অ্যাপ ইনস্টল করা যায় না এবং ফোনের গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম আপডেটগুলোও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েডের নতুন ভার্সন এবং আধুনিক অ্যাপগুলোর চাহিদা মেটাতে ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম একটি আদর্শ মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে আপনার ফোন কেনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নেওয়া উচিত নিজের প্রয়োজনকে মাথায় রেখে।
যদি আপনার ফোনে মাইক্রোএসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা না থাকে, তবে অবশ্যই বেশি রমযুক্ত ফোন কেনা বুদ্ধিমানের কাজ। মনে রাখবেন, শুধু র্যাম বা রম নয়, ভালো পারফরম্যান্সের জন্য প্রসেসর, ব্যাটারি এবং ক্যামেরার মতো অন্যান্য বিষয়গুলোও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- শেয়ার কারসাজিকারীদের শাস্তি ১০ বছর করার প্রস্তাব
- নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে: দুদু
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ