ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২
জামায়াতকে বিশেষ ট্রেন দেওয়া নিয়ে যা বলছে রেলওয়ে
আগামীকাল রাজধানীতে জাতীয় সমাবেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ উপলক্ষে দলটির অনুরোধে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে বিষয়টি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা ছড়াচ্ছে।
আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি রেলওয়ের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার হচ্ছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, '১৯ জুলাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ উপলক্ষে দলটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিষয়টি কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা লক্ষ করা যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতির পূর্বাপর ইতিহাস বা নজির না জেনে পক্ষপাতমূলকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।'
ব্যাপারটি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান, 'এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের বক্তব্য হচ্ছে, এতে ট্রেন পরিচালনার স্বাভাবিক নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। অতীতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় কর্মসূচি উপলক্ষে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার নজির রয়েছে। রাজনৈতিক দলের জনসমাবেশ বা অনুরূপ কর্মসূচির কারণে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট ভাড়া আদায়সাপেক্ষে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি প্রদান বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি নৈমিত্তিক কাজ।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি প্রদান না করলে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী নিয়মিত ট্রেনের টিকিটবিহীন যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য টিকিট করার পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ পান না বিধায় বিনা টিকিটে ভ্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়।
অন্যদিকে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি প্রদান করার ফলে নির্দিষ্ট ভাড়া পরিশোধ সাপেক্ষে দলের নেতাকর্মীরা ওই ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে রেলওয়ে। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে যেমন কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হবে, তেমনি অন্যান্য ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরাও বাড়তি ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
সংস্থাটি জানিয়েছে, 'ওই চার জোড়া বিশেষ ট্রেন সাপ্তাহিক অফ ডে থাকা নির্ধারিত রেক দ্বারা পরিচালনা করা হবে। তা ছাড়া শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীদের স্বাভাবিক চাহিদা সাধারণত কম থাকে। ফলে এসব ট্রেন পরিচালনার জন্য নিয়মিত চলাচলকারী কোনো ট্রেনের যাত্রা বিঘ্নিত হবে না। অর্থাৎ এসব রুটে নিয়মিত চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীদের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না। আলোচ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ উপলক্ষে তারা প্রায় ৩২ লাখ টাকায় বিশেষ ট্রেনের ভাড়া অগ্রিম পরিশোধ করেছে। এতে রেলের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।'
এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য রেলওয়ের। বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, 'এর সঙ্গে দলীয় রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। পূর্বের প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যে কোনো রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো কিংবা অপপ্রচারের কোনো সুযোগ নেই।'
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে এক হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে আইসিবি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৮ কোম্পানি