ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
জুলাই ঘোষণাপত্র মূল সংবিধানে না রাখার যে ব্যাখ্যা দিচ্ছে বিএনপি

মূল সংবিধানে নয়, বরং চতুর্থ তপশিলে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ অন্তর্ভুক্ত করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে চায় বিএনপি। দলটির মত, ক্রান্তিকালীন সময়ের বিধান সংক্রান্ত এই তপশিলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দাবি করছে, ‘জুলাই ঘোষণা’ সংবিধানের প্রস্তাবনাতেই স্থান পেতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এনসিপির এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, "সংবিধান সাহিত্য নয়, আইন। একাত্তরের ১০ এপ্রিল ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রই সংবিধানের মূল অংশে ছিল না। পঞ্চদশ সংশোধনীতে সপ্তম তপশিলে যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তা সাংবিধানিক নয়। ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক মূল্য রয়েছে। বিএনপি চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে মর্যাদা ও গুরুত্ব ধারণ করে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে চায়।"
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের এগারতম দিনের সংলাপ শেষে এসব কথা বলেছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "একটি রাজনৈতিক দলের চাওয়ায় জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে। কয়েকদিন আগে সরকারের একজন উপদেষ্টা ঘোষণাপত্রের খসড়া বিএনপি মহাসচিবকে দিয়েছেন।"
বিএনপি এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি একটি খসড়া সরকারকে দিয়েছিল বলে জানান তিনি। 'তবে এরপর আর অগ্রগতি ছিল না। এবারের খসড়ায় বিএনপির আগে দেওয়া মতামতের কিছু প্রতিফলন রয়েছে। গত বুধবার রাতে সরকারকে এবারের খসড়ায় মতামত জানানো হয়েছে', বলেন সালাহউদ্দিন।
জুলাই ঘোষণার মাধ্যমে অভ্যুত্থানের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দাবি করছে এনসিপি। এ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন বলেছেন, "রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে ক্রান্তিকালীন বিধান-সংক্রান্ত সংবিধানের চতুর্থ তপশিলে যুক্ত করে জুলাই অভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি দেওয়া যেতে পারে। চতুর্থ তপশিলে রাখা যেতে পারে, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে।"
মূল সংবিধানে জুলাই ঘোষণাকে অর্ন্তর্ভূক্ত করতে বিএনপির আপত্তি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেছেন, "জুলাই অভ্যুত্থানকে রাখলে, প্রশ্ন আসবে পচাত্তরের ৭ নভেম্বর বিপ্লব, নব্বইয়ের অভ্যুত্থান- কোথায় রাখা হবে?।"
অন্তর্বর্তী সরকারকেও স্বীকৃতি দেওয়া যেতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, "সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতার মামলায় পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম তপশিলকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। তাই, অভ্যুত্থান-সংক্রান্ত জুলাই ঘোষণা চতুর্থ তপশিলে একটি প্যারায় রেখে, স্বীকৃতি দেওয়া যৌক্তিক হবে। আরেকটি প্যারায় বর্তমান সরকারের স্বীকৃতি দেওয়া যেতে পারে, রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে।"
তবে এ ধারণাকে নাকচ করেছেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, "নতুন সংবিধানের প্রস্তাবনায় জুলাই ঘোষণা রাখাত হবে। তা রাষ্ট্র পরিচালনার পাথেয়। জুলাই ঘোষণার সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।"
বর্তমান সংবিধানই সংস্কার হলে, জুলাই ঘোষণাকে কীভাবে প্রস্তাবনায় রাখা যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপির এই নেতা বলেন, "সংবিধান নতুন বা পুরাতন যাই হোক, জুলাইয়ের সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকতে হবে। সংবিধানের বাইরে তপশিলে যোগ করা গ্রহণযোগ্য হবে না।"
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ