ঢাকা, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২
উত্থানের আড়ালে শেয়ারবাজারে পতনের মাতম

নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বগতি ধরে রাখলেও লেনদেন হওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে, যা বাজারের এক বিপরীত চিত্র তুলে ধরেছে। এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের ৪ হাজার ৮৬৫ পয়েন্ট থেকে প্রায় ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এই উত্থান নিঃসন্দেহে বাজারের সামগ্রিক ইতিবাচক প্রবণতাকে নির্দেশ করে, বিশেষ করে নতুন অর্থবছরের শুরুতে ধারাবাহিক সূচক বৃদ্ধির পর। এদিন লেনদেনের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের দিনের ৪৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার লেনদেন বেড়ে বৃহস্পতিবার ৫০৬ কোটি ১৮ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। লেনদেন বেড়েছে ২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকাও বেশি। এই বর্ধিত লেনদেন বাজারে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বৃদ্ধিকে ইঙ্গিত করে।
তবে সূচক ও লেনদেনের এই ইতিবাচক চিত্রের বিপরীতে এদিন লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশিরভাগেরই শেয়ারের দাম কমেছে। বৃহস্পতিবার ১৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়লেও ১৮১টির দাম কমেছে এবং ৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর কারণ হলো-এদিন বড় মূলধনী ব্যাংক খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বৃহৎ মূলধনের ব্যাংক খাতের পারফরম্যান্সের কারণে সূচক বেড়েছে। কিন্তু বাজারের বৃহত্তর অংশ অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও মাঝারি মূলধনের শেয়ারগুলো দর হারিয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে বিনিয়োগকারীরা এখন তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এবং বড় মূলধনের শেয়ারগুলোতে বেশি ঝুঁকছেন। যার ফলে সূচক উপরের দিকে যাচ্ছে। অন্যদিকে, দুর্বল মৌলভিত্তির বা স্বল্প মূলধনের কোম্পানিগুলো থেকে তারা নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন, যার ফলে এসব শেয়ারের দরপতন ঘটছে।
তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংক খাত নিয়ে এখনই চুড়ান্ত মতামত দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ অতীতে দেখা গেছে, অর্থনীতির সবচেয়ে বেশি আলোচিত ব্যাংক খাতের শেয়ার খুব বেশি দিন ইতিবাচক থাকে না। দুই-এক দিন বাড়ার পর ধারাবাহিক পতনের ধারায় নেমে যায়। তবে এবার যদি কিছুদিন টিকে যায়, তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে ব্যাংক খাতের উপর ভর করেই শেয়ারবাজারে বড় উত্থান দেখা যেতে পারে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি : সাক্ষাৎকার যেদিন শুরু
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেললো ইসরাইল
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!
- পদোন্নতি পাবেন না যেসব সরকারি কর্মকর্তারা
- ১৩ বীমায় প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা তলানিতে, ১০% শতাংশের নিচে শেয়ার
- ২৪ কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনীহা, বিনিয়োগ ১০% শতাংশের নিচে
- উদ্যোক্তা পরিচালকের ২০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা