ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২
ভিডিও কেলেঙ্কারিতে তদন্তের মুখে বিএফআইইউ প্রধান

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামকে ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি তার একাধিক আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইটি বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) গভর্নরের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
ভিডিও প্রকাশের ঘটনাটি সামনে আসে এমন সময়ে যখন শাহীনুল ইসলাম বিতর্কিত পরিবহন প্রতিষ্ঠান এনা গ্রুপের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়ার ঘটনায় আলোচনায় আছেন। গত বছরের নভেম্বরে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের নামে থাকা ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১২০ কোটি টাকা জব্দ করে বিএফআইইউ। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে ব্যাংক আল-ফালাহর চারটি অ্যাকাউন্ট পুনরায় ফ্রিজ না করে ১৯ কোটি টাকা তোলার সুযোগ দেওয়া হয়। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই তথ্য হাতে পেয়েছে।
দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বাস রুট থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২৭ মে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত তার ১২০ কোটি টাকা ফ্রিজের আদেশ দেন। কিন্তু পরে দুদক জানতে পারে, হিসাবগুলোতে প্রকৃতপক্ষে রয়েছে ১০১ কোটি টাকা। অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে বাকি অর্থ উত্তোলনের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শাহীনুল ইসলাম বলেন, এনা পরিবহনের আবেদনের ভিত্তিতে কিছু অর্থ উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে অনেক প্রতিষ্ঠানকে এমন সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। আর দুদক থেকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ব্যাখ্যা দেবেন। আপত্তিকর ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো ভুয়া এবং তাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে ভিডিওগুলো শেয়ার করতে শুরু করে। পরে সোমবার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়। এরপর ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এর আগে গত বছরের ৮ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন বিএফআইইউর তৎকালীন প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস। প্রায় পাঁচ মাস শূন্য থাকার পর এ বছরের জানুয়ারিতে শাহীনুল ইসলামকে প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। যদিও গভর্নরের নেতৃত্বে গঠিত সার্চ কমিটির সুপারিশকৃত তিনজনের মধ্যে তার নাম ছিল না, তবুও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তাকে নিয়োগ দেয়। এ নিয়েও তখন ব্যাপক সমালোচনা হয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার