ঢাকা, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২
প্রকাশ্যে আসছেন না খামেনি, জল্পনা ও উদ্বেগ
.jpg)
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে জনসমক্ষে দেখা না যাওয়ায় দেশজুড়ে জল্পনা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন, তিনি ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলায় শহীদ হয়েছেন; আবার কেউ মনে করছেন তিনি জীবিত আছেন এবং নির্ধারিত সময়েই প্রকাশ্যে আসবেন।
খামেনিকে সর্বশেষ জনসমক্ষে দেখা গেছে ১১ জুন। এরপর থেকে তিনি কেবল ভিডিও বার্তার মাধ্যমে হাজির হয়েছেন। এমনকি সাম্প্রতিক সংঘাতে নিহত শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের জানাজায়ও তার অনুপস্থিতি চোখে পড়েছে যা সাধারণত তার রুটিন কার্যক্রমের অংশ হয়ে থাকে।
নিরাপত্তা শঙ্কা ও গোপন আশ্রয়ের গুঞ্জন
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের পর খামেনিকে গোপন নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার ওপর গুপ্তচরবৃত্তি ও সম্ভাব্য হত্যাচেষ্টার আশঙ্কায় ইলেকট্রনিক যোগাযোগও সীমিত রাখা হয়েছে। এ কারণে তিনি জনসমক্ষে আসছেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভিডিও বার্তায় উপস্থিতি ও সন্দেহ
২৩ ও ২৬ জুন খামেনি দুটি প্রাক-রেকর্ড করা ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু ভিডিওগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড ও প্রযোজনায় অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেছেন ওপেন সোর্স গোয়েন্দারা (OSINT)। এতে ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিওগুলো হয়তো ভিন্ন কোনো গোপন স্থান থেকে ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি তার প্রকৃত অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
ক্ষমতার ভারসাম্যে অস্থিরতা
যদিও সরাসরি দৃশ্যমান না থাকলেও খামেনি এখনো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে যুক্ত রয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলের মাধ্যমে তিনি শাসনক্ষমতায় সক্রিয় থাকলেও তার অনুপস্থিতি রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়েছে। মধ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান কর্তৃত্ব দৃঢ় করতে চাইছেন অন্যদিকে কট্টরপন্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
জনসাধারণের উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়া
১২ দিনের ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতের পর পরিস্কার প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় জনগণের মধ্যে নেতার উপস্থিতি ঘিরে দ্বিধা তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন সংকটময় সময়ে খামেনির অনুপস্থিতি ইরানের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কাঠামো নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে।
রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও উত্তরাধিকারের ইঙ্গিত
তার এই দীর্ঘ অনুপস্থিতি ইরানে নেতৃত্ব সংকটের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। খামেনি ইতোমধ্যে তিনজন সম্ভাব্য উত্তরাধিকারীর নাম গোপনে নির্ধারণ করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। এই প্রক্রিয়াকে ঘিরে আইআরজিসি ও কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর প্রভাব আরও বাড়তে পারে যা দেশটিকে আরও দৃঢ়ভাবে পশ্চিমবিরোধী অবস্থানে ঠেলে দিতে পারে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি : সাক্ষাৎকার যেদিন শুরু
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- রেকর্ড তলানিতে তিন কোম্পানির শেয়ার: বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ
- পদোন্নতি পাবেন না যেসব সরকারি কর্মকর্তারা
- সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!
- হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেললো ইসরাইল