ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২
প্রথম দেশ হিসেবে তালেবান সরকারকে রাশিয়ার স্বীকৃতি
তালেবান সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) কাবুলে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনোভ। এ ঘটনাকে ‘সাহসী ও ইতিবাচক পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন মুত্তাকি।
তিনি বলেন, “এই স্বীকৃতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও গঠনমূলক সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় সূচনার প্রতীক। রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত অন্যান্য দেশের জন্যও দৃষ্টান্ত হতে পারে।”
২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান সরকার। এবার রাশিয়ার স্বীকৃতি তালেবানের সেই কূটনৈতিক প্রয়াসে বড় ধরনের সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করবে। বিশেষ করে জ্বালানি, কৃষি, অবকাঠামো ও পরিবহন খাতে পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধির আশা করছে মস্কো। একই সঙ্গে সন্ত্রাস ও মাদক চোরাচালান মোকাবেলায় কাবুলকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।
তালেবান শাসন প্রতিষ্ঠার পর যেসব দেশ কাবুলে দূতাবাস চালু রেখেছে, রাশিয়া তাদের অন্যতম। এমনকি ২০২২ সালে দেশটি তালেবানের সঙ্গে তেল, গ্যাস ও গম সরবরাহ নিয়ে একটি অর্থনৈতিক চুক্তিতেও সই করে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রাশিয়ার ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের’ তালিকা থেকেও তালেবানকে সরিয়ে নেয় মস্কো। গত বছর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে সন্ত্রাস মোকাবিলায় ‘মিত্র’ বলেও উল্লেখ করেন।
তবে দুই দেশের সম্পর্ক সবসময় মসৃণ ছিল না। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান আগ্রাসন এবং পরবর্তী নয় বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এ সম্পর্কের পেছনে দীর্ঘ ইতিহাস রেখে গেছে। সেই যুদ্ধে সোভিয়েত বাহিনীর প্রায় ১৫ হাজার সেনা প্রাণ হারায় এবং শেষ পর্যন্ত ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
এদিকে এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি পশ্চিমা বিশ্বের কোনো দেশ। মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারীদের অধিকার খর্ব এবং কঠোর শরিয়া আইন বাস্তবায়নের অভিযোগে তারা তালেবানের সমালোচনা অব্যাহত রেখেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদও ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করে যার ফলে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ এখনো জব্দ রয়েছে।
চীন, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উজবেকিস্তান কাবুলে রাষ্ট্রদূত পাঠালেও এখনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি তালেবান সরকারকে। ভারত তো এখনো কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বীকারই করে না।
এ প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার স্বীকৃতি তালেবান সরকারের জন্য এক বড় কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কবে? জানানো হলো নতুন তারিখ
- জায়ান্টস বনাম এমিরেটস: বোলিংয়ে সাকিব-দেখুন সরাসরি (LIVE)
- আবু ধাবি নাইট রাইডার্স বনাম শারজাহ ওয়ারিয়র্জ: বোলিংয়ে তাসকিন-দেখুন সরাসরি (LIVE)
- আজ সিলেট বনাম রাজশাহীর ম্যাচ: সরাসরি দেখার উপায়-সময়সূচি
- ভারত-পাকিস্তানের জমজমাট ফাইনাল ম্যাচটি শেষ-দেখে নিন ফলাফল
- স্থগিত হওয়া ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে যা বলছে ঢাবির কর্তৃপক্ষ
- আজকের বাজারে স্বর্ণের দাম (২০ ডিসেম্বর)
- এবার প্রকাশ্যে এনসিপি নেতা মোতালেব গুলিবিদ্ধ
- শারজাহ ওয়ারিয়র্স বনাম দুবাই ক্যাপিটালস: ব্যাটিংয়ে মুস্তাফিজরা-সরাসরি দেখুন
- প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় থাকছে বুয়েটের প্রযুক্তি
- ২০২৬ বিপিএল: কবে, কখন, কোথায়-জানুন পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি
- চবির ‘এ’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু আজ
- ব্লুমবার্গের তালিকায় বাংলাদেশের শেয়ারবাজার কোম্পানির বড় লাফ
- বোনাস অনুমোদনে দ্বিমুখী নীতি, প্রশ্নের মুখে বিএসইসি