ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

অসলোতে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র!

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ জুলাই ০৩ ২২:২০:৪১
অসলোতে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র!

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আবারও আলোচনায় বসতে চলেছে। আলোচনাটি আগামী সপ্তাহে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস। আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে এখনও নির্দিষ্ট তারিখ চূড়ান্ত হয়নি এবং কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে এ বৈঠক স্বীকার করেনি। ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে অসলো ভ্রমণ নিয়ে কোনো ঘোষণা নেই।” জাতিসংঘে ইরান মিশনও এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে এই আলোচনাটি হতে যাচ্ছে এমন এক সময়ে, যখন মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে সময় ১২ দিন ধরে চলা ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের অবসানে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও ওমান সক্রিয়ভাবে মধ্যস্থতা করেছিল। যুদ্ধবিরতির পর ইরান শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ না দেখালেও এখন তাদের অবস্থান কিছুটা নমনীয় হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে লিখেছেন, “ইরান এখনো এনপিটি এবং এর আওতায় থাকা সুরক্ষা চুক্তিগুলোর প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে, ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রেক্ষিতে পার্লামেন্টে গৃহীত নতুন আইন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র সঙ্গে সহযোগিতা এখন থেকে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে।”

বর্তমানে ইরানের কাছে প্রায় ৪০৮ কেজি উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, যা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ। এ ইউরেনিয়াম আরও পরিশোধিত হলে তা দিয়ে ৯টিরও বেশি পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে। এই ইউরেনিয়াম মূলত ইরানের নাতাঞ্জ, ফোরদো ও ইসফাহানের ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় সংরক্ষিত বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। ট্রাম্প দাবি করেছেন, সম্প্রতি এসব স্থাপনায় যৌথ হামলায় ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, ইরান নতুন একটি আইন বাস্তবায়ন শুরু করেছে, যার ফলে আইএইএর সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে।

এই আলোচনা যদি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে সেটি হতে পারে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি (JCPOA) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রথম বড় পদক্ষেপ।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত