ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

বেঁচে আছেন নিহ'ত বলে প্রচার করা খামেনির উপদেষ্টা!

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ জুলাই ০২ ১৮:০০:২৬
বেঁচে আছেন নিহ'ত বলে প্রচার করা খামেনির উপদেষ্টা!

ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা রিয়ার এডমিরাল আলী শামখানি জীবিত আছেন। আজ বুধবার (২ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ১৩ জুন ইসরায়েলি বাহিনী ইরানে একটি আকস্মিক হামলা চালায়। ওইদিন তেহরানে আলী শামখানির অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে মিসাইল নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে তার অ্যাপার্টমেন্ট মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ছাদ ধসে পড়ে। তিনি প্রায় তিন ঘণ্টা সেখানে আটকা পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

নিউইয়র্ক টাইমস এর আগে শামখানির পরিবারের সদস্য এবং ইরানি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। দীর্ঘসময় তার কোনো খোঁজ না মেলায় এবং তাকে প্রকাশ্যে না দেখায় সে সময় ধারণা আরও জোরালো হয় যে, তিনি মারা গেছেন।

কিন্তু গত শনিবার অন্যান্য কমান্ডারদের জানাজায় শামখানিকে দেখা গেছে বলে আজকের প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, শনিবার আলী শামখানি কালো স্যুট ও কালো শার্ট পরে জানাজায় উপস্থিত হন। তবে সে সময় তাকে হাঁটতে বেশ কষ্ট করতে দেখা যায়। তিনি একটি লাঠির সহায়তায় হাঁটছিলেন এবং তার শারীরিক অবস্থা ছিল দুর্বল; মুখ শুকনো এবং ঘাড় বাঁকা হয়ে ছিল।

৬৯ বছর বয়সী আলী শামখানি ইরানের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনায় তেহরানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং দীর্ঘদিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা।

জাতিগতভাবে শামখানি একজন আরব এবং খুজেস্তান প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি আরবি ভাষায় দক্ষ এবং সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

গত শনিবার ইরানি টিভিকে এক সাক্ষাৎকারে শামখানি বলেন, “আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম। আমার স্ত্রী পাশের রুমে ঘুমাচ্ছিল। আমার যে ছেলে আমাদের সঙ্গে থাকে সে হামলার ১০ মিনিট আগে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। হামলার পর প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এটি কোনো ভূমিকম্প। কিন্তু তখন আমরা একটি গাড়ি যাওয়ার শব্দ শুনতে পাই। ওই সময় আমি বলি, ইসরায়েলিরা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। ভবনটি ধসে পড়ায় অক্সিজেনের অভাবে আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল।”

ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, “আমি ধ্বংসস্তূপের নিচে তিন ঘণ্টা আটকে ছিলাম। ওই সময় জোরে জোরে আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানকে ডাকছিলাম। তখন উদ্ধারকারীরা আমার কথা শুনতে পায়। তারা প্রথমে আমার পা খুঁজে বের করে। এরপর আমার পুরো দেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে।”

যদিও ওই হামলায় তার স্ত্রী আহত বা নিহত হয়েছেন কি না সেটি উল্লেখ করেননি আলী শামখানি।

সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত