ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
পাকিস্তান আক্রমণে ভারত-ইসরায়েল হামলার পরিকল্পনা ফাঁস

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের রেশ কাটতে না কাটতেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। একাধিক আন্তর্জাতিক সূত্র এবং বিশ্লেষক মহল দাবি করছে, পাকিস্তানের পরমাণু কার্যক্রম রুখতে ভারত ও ইসরায়েল যৌথভাবে সামরিক হামলার পরিকল্পনা করছে, যা অক্টোবরের আগেই বাস্তবায়নের চেষ্টা হতে পারে। এই সম্ভাব্য হামলার খবরে দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সম্পর্ক নিছকই কৌশলগত নয়, বরং মতাদর্শগত (জায়নবাদ ও হিন্দুত্ববাদ)। সাউথ আফ্রিকার সাংবাদিক আজাদ এসা'র মতে, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনে একই দমননীতি প্রয়োগের কারণে এই দুই দেশ ঘনিষ্ঠ সামরিক জোটে পরিণত হয়েছে। ২০১৭ সালে মোদির ইসরায়েল সফরের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও গোয়েন্দা সহযোগিতা বেড়েছে।
ইউরোপীয় থিংকট্যাঙ্ক 'মডার্ন ডিপ্লোমেসি'র এক প্রতিবেদনে কানাডার অধ্যাপক ড. জুলিয়ান স্পেন্সার-চার্চিল মন্তব্য করেছেন, ইরানকে দমনের পর পাকিস্তানই হবে পরবর্তী লক্ষ্য। ভারতের ঘাঁটি ব্যবহার করে ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল ও বিমান হামলায় পাকিস্তানের পরমাণু স্থাপনা টার্গেট করার পরিকল্পনা রয়েছে। একই কথা বলেছেন হিব্রু ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মেইর মাসরি।
পাকিস্তানের সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, পাকিস্তান ইরান বা লেবাননের মতো দুর্বল নয়। তাদের সামরিক সক্ষমতা উন্নত ও সুসংগঠিত। ২০২৫ সালের মে মাসে চারটি রাফায়েলসহ সাতটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান তাদের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রমাণ দিয়েছে।
সম্প্রতি আদানি গ্রুপ ও ইসরায়েলের এলবিট সিস্টেমের যৌথ উদ্যোগে ভারতে তৈরি হচ্ছে হাই-টেক ড্রোন হার্মিস ৯০০। এটি গাজা ও ইরানে ব্যবহৃত হলেও পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা এই ড্রোন হামলাও প্রতিহত করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, আদানি'র হাইফা বন্দরে বিনিয়োগ এবং ভারতে ইসরায়েলি অস্ত্র কারখানা স্থাপন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় পরিকল্পনার ইঙ্গিত।
কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, বিশেষ করে আসন্ন বিহার নির্বাচনকে সামনে রেখে মোদি সরকার জাতীয়তাবাদ উস্কে দিতে পাকিস্তানবিরোধী আগ্রাসনের পথ বেছে নিতে পারে। কাশ্মীরি নেতা ফারুক আবদুল্লাহও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কাশ্মীর সংকট সমাধান না হলে তা গাজায় পরিণত হতে পারে।
যদিও ভারত ও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো সরাসরি কোনো যুদ্ধ ঘোষণার বার্তা আসেনি, তবে সামরিক প্রস্তুতি, গোয়েন্দা তৎপরতা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলমান ভাষ্য দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, যেকোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি বা উসকানি বড় সংঘাতের রূপ নিতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান কড়া বার্তাও দিয়েছে—“আমরা গাজা নই, ভুল করেও তা ভাববেন না!”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইরান
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকা সত্বেও ফেসভ্যালুর নিচে ১৬ ব্যাংকের শেয়ার
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- আর্থিক অস্বচ্ছল দুই শিক্ষার্থীর ভর্তিতে সহযোগিতা করলেন ছাত্রদলনেতা হামিম
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি