ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২
বিনিয়োগের জন্য জাতিসংঘের জরুরি আহ্বান
.jpg)
বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা এবং বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ হ্রাসের প্রেক্ষাপটে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগকে সময়োপযোগী ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-র প্রধান হাওলিয়াং জু।
রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বিনিয়োগ এখন অপরিহার্য।”
স্পেনের সেভিল শহরে অনুষ্ঠিতব্য চার দিনব্যাপী জাতিসংঘ সম্মেলনের আগে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জু আরও বলেন, সাহায্য, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় কোনো ‘শূন্য-সমষ্টির খেলা’ নয় বরং এই তিনটি খাত পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।
এ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো উন্নয়ন খাতে যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে তা দূর করে নতুন গতিশীলতা সৃষ্টি করা।
হাওলিয়াং জু উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী দরিদ্র জনগণের একটি বড় অংশ সংঘাতকবলিত অঞ্চলে বসবাস করে। তাই এসব এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ও বিনিয়োগ অত্যন্ত জরুরি।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ধনী দাতা দেশগুলো—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন—সহায়তার বাজেট কমিয়ে প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ব্যাপক বৃদ্ধি করেছে যা ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতে আরও জটিলতা সৃষ্টি করছে।
২০২৪ সালে বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় রেকর্ড ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে যা আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি বলে জানান তিনি।
তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, প্রতিযোগিতা ও সংঘাত থাকা সত্ত্বেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানো ধনী দেশগুলোর নৈতিক ও কৌশলগত দায়িত্ব।
তার মতে, দুর্বল রাষ্ট্রগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিনিয়োগ করা হলে অভিবাসন, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সংকট অনেকটাই প্রশমিত হবে।
তিনি আরও সতর্ক করেন, “একটি অঞ্চলের সংকট অন্য অঞ্চলকেও প্রভাবিত করে। এমনকি যেসব দেশ আপাতভাবে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ তারাও এর প্রভাব থেকে রক্ষা পায় না।”
অসলোভিত্তিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৬ সালের পর ২০২৪ সালই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সশস্ত্র সংঘাতের বছর।
বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সংঘাতপীড়িত অঞ্চলে দৈনিক ৩ ডলারের কম আয়ে বসবাসকারী চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪৩ কোটি ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে।
সোমবার থেকে সেভিলে শুরু হওয়া উন্নয়ন অর্থায়ন নিয়ে চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের অন্তত ৫০টি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের অংশগ্রহণের আশা করা হচ্ছে। এটি গত এক দশকে উন্নয়ন অর্থায়ন বিষয়ে সবচেয়ে বড় পরিসরের সম্মেলন হিসেবে বিবেচিত।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- ১৪ অক্টোবর: এক নজরে শেয়ারবাজারের ২০ খবর
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৮ কোম্পানি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ১০ কোম্পানির কারণে ৩ মাস পেছনে গেল শেয়ারবাজার
- শেয়ারবাজার কি ধ্বংসের পথে? আর কত রক্তক্ষরণ?
- পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: নোমান আলীর শিকার মার্করাম