ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
বিনিয়োগের জন্য জাতিসংঘের জরুরি আহ্বান
.jpg)
বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা এবং বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ হ্রাসের প্রেক্ষাপটে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগকে সময়োপযোগী ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-র প্রধান হাওলিয়াং জু।
রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বিনিয়োগ এখন অপরিহার্য।”
স্পেনের সেভিল শহরে অনুষ্ঠিতব্য চার দিনব্যাপী জাতিসংঘ সম্মেলনের আগে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জু আরও বলেন, সাহায্য, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় কোনো ‘শূন্য-সমষ্টির খেলা’ নয় বরং এই তিনটি খাত পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।
এ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো উন্নয়ন খাতে যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে তা দূর করে নতুন গতিশীলতা সৃষ্টি করা।
হাওলিয়াং জু উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী দরিদ্র জনগণের একটি বড় অংশ সংঘাতকবলিত অঞ্চলে বসবাস করে। তাই এসব এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ও বিনিয়োগ অত্যন্ত জরুরি।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ধনী দাতা দেশগুলো—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন—সহায়তার বাজেট কমিয়ে প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ব্যাপক বৃদ্ধি করেছে যা ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতে আরও জটিলতা সৃষ্টি করছে।
২০২৪ সালে বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় রেকর্ড ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে যা আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি বলে জানান তিনি।
তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, প্রতিযোগিতা ও সংঘাত থাকা সত্ত্বেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানো ধনী দেশগুলোর নৈতিক ও কৌশলগত দায়িত্ব।
তার মতে, দুর্বল রাষ্ট্রগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিনিয়োগ করা হলে অভিবাসন, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সংকট অনেকটাই প্রশমিত হবে।
তিনি আরও সতর্ক করেন, “একটি অঞ্চলের সংকট অন্য অঞ্চলকেও প্রভাবিত করে। এমনকি যেসব দেশ আপাতভাবে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ তারাও এর প্রভাব থেকে রক্ষা পায় না।”
অসলোভিত্তিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৬ সালের পর ২০২৪ সালই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সশস্ত্র সংঘাতের বছর।
বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সংঘাতপীড়িত অঞ্চলে দৈনিক ৩ ডলারের কম আয়ে বসবাসকারী চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪৩ কোটি ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে।
সোমবার থেকে সেভিলে শুরু হওয়া উন্নয়ন অর্থায়ন নিয়ে চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের অন্তত ৫০টি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের অংশগ্রহণের আশা করা হচ্ছে। এটি গত এক দশকে উন্নয়ন অর্থায়ন বিষয়ে সবচেয়ে বড় পরিসরের সম্মেলন হিসেবে বিবেচিত।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার