ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
বিনিয়োগের জন্য জাতিসংঘের জরুরি আহ্বান
.jpg)
বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা এবং বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ হ্রাসের প্রেক্ষাপটে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগকে সময়োপযোগী ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-র প্রধান হাওলিয়াং জু।
রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বিনিয়োগ এখন অপরিহার্য।”
স্পেনের সেভিল শহরে অনুষ্ঠিতব্য চার দিনব্যাপী জাতিসংঘ সম্মেলনের আগে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জু আরও বলেন, সাহায্য, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় কোনো ‘শূন্য-সমষ্টির খেলা’ নয় বরং এই তিনটি খাত পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।
এ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো উন্নয়ন খাতে যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে তা দূর করে নতুন গতিশীলতা সৃষ্টি করা।
হাওলিয়াং জু উল্লেখ করেন, বিশ্বব্যাপী দরিদ্র জনগণের একটি বড় অংশ সংঘাতকবলিত অঞ্চলে বসবাস করে। তাই এসব এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ও বিনিয়োগ অত্যন্ত জরুরি।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ধনী দাতা দেশগুলো—বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন—সহায়তার বাজেট কমিয়ে প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ব্যাপক বৃদ্ধি করেছে যা ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতে আরও জটিলতা সৃষ্টি করছে।
২০২৪ সালে বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় রেকর্ড ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে যা আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি বলে জানান তিনি।
তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, প্রতিযোগিতা ও সংঘাত থাকা সত্ত্বেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাশে দাঁড়ানো ধনী দেশগুলোর নৈতিক ও কৌশলগত দায়িত্ব।
তার মতে, দুর্বল রাষ্ট্রগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিনিয়োগ করা হলে অভিবাসন, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সংকট অনেকটাই প্রশমিত হবে।
তিনি আরও সতর্ক করেন, “একটি অঞ্চলের সংকট অন্য অঞ্চলকেও প্রভাবিত করে। এমনকি যেসব দেশ আপাতভাবে স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ তারাও এর প্রভাব থেকে রক্ষা পায় না।”
অসলোভিত্তিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৬ সালের পর ২০২৪ সালই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সশস্ত্র সংঘাতের বছর।
বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সংঘাতপীড়িত অঞ্চলে দৈনিক ৩ ডলারের কম আয়ে বসবাসকারী চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪৩ কোটি ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে।
সোমবার থেকে সেভিলে শুরু হওয়া উন্নয়ন অর্থায়ন নিয়ে চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের অন্তত ৫০টি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের অংশগ্রহণের আশা করা হচ্ছে। এটি গত এক দশকে উন্নয়ন অর্থায়ন বিষয়ে সবচেয়ে বড় পরিসরের সম্মেলন হিসেবে বিবেচিত।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকা সত্বেও ফেসভ্যালুর নিচে ১৬ ব্যাংকের শেয়ার
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- রেকর্ড তলানিতে তিন কোম্পানির শেয়ার: বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ
- ঢাবিতে বিস্ফোরণের শব্দে প্রকম্পিত টিএসসি এলাকা