ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

নারী, শিশু ও কিশোরদের মাদক চোরাচালানে ব্যবহার করা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুন ২৬ ১৬:৩২:২৩
নারী, শিশু ও কিশোরদের মাদক চোরাচালানে ব্যবহার করা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনের কারণে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি বলেন, মাদকের অবৈধ পাচার ও অপব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা এবং অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, কোনো দেশের অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে কর্মক্ষম ও দক্ষ যুবসমাজ। কিন্তু মাদকের ছোবল সেই শক্তিকে নষ্ট করছে। আধুনিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখা না গেলে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নানা উপায়ে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও কিশোরদের মাদক চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। এর ফলে দেশে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে এবং অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।

মাদকবিরোধী কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গঠন করা হয়েছে মাদকবিরোধী কমিটি, যা সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা।

তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির প্রসারের ফলে নতুন ধরনের সিনথেটিক ও সেমি-সিনথেটিক মাদকের আগ্রাসন দেখা দিয়েছে। এসব মাদক তফসিলভুক্ত করে এবং কৌশলগত নজরদারি বাড়িয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এসব বিষয়ে তৎপর রয়েছে।

জনবল সংকটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১৮ কোটির বেশি মানুষের দেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে মাত্র ২,৯৪৩ জন কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে ১,৬২২ জন মাঠ পর্যায়ে (এনফোর্সমেন্ট) কাজ করছেন। এই সীমিত জনবল নিয়ে তারা ৬৪ জেলা, ৮ বিভাগ ও একটি বিশেষ জোনে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, বাংলাদেশে মাদক উৎপাদিত না হলেও বাইরের দেশ থেকে চোরাপথে মাদক এনে আমাদের যুবসমাজকে ধ্বংস করা হচ্ছে। বর্তমানে ৩২টি সীমান্ত জেলা মাদক পাচারের ঝুঁকিতে রয়েছে। এইসব এলাকায় জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো জরুরি।

তিনি জানান, সরকার বিভাগীয় পর্যায়ে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত