ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নিয়ম, শিক্ষার্থীদের মাথায় হাত

ডুয়া নিউজ- শিক্ষা
২০২৫ জুন ২৬ ১২:৫৪:০১
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নিয়ম, শিক্ষার্থীদের মাথায় হাত

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বড় পরিবর্তনের পথে হাঁটছে। এতদিন যেসব শিক্ষার্থী ২৮ বা ৩০ নম্বর পেতেন তাদের ‘সহানুভূতি’ দেখিয়ে ৩৩ নম্বর দিয়ে পাস করানো হতো—এ অলিখিত নিয়ম এবার বন্ধ হচ্ছে। অপ্রাসঙ্গিক বা ভুল উত্তর দিলেও আর নম্বর মিলবে না। সঠিক ও বাস্তব মূল্যায়ন নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

প্রায় দেড় দশক ধরে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতির নামে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে উদার নীতির ব্যবহার চলছিল। পরীক্ষকদের মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হতো—খাতায় কিছু থাকলেই নম্বর দিতে হবে। ফলে ভুল উত্তর, এমনকি অর্থহীন লেখার পরেও শিক্ষার্থীরা নম্বর পেতেন। এতে পাসের হার ও জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছিল বটে কিন্তু শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল দেশ-বিদেশে।

একজন প্রধান পরীক্ষক উদাহরণ দিয়ে বলেন, “এক শিক্ষার্থী প্রশ্নে ছিল—‘হাজী মুহম্মদ মুহসীনকে কেন দানবীর বলা হয়?’ উত্তরে সে লিখেছে, ‘তিনি দানব ও বীর ছিলেন তাই তাকে দানবীর বলা হয়।’ অথচ এই উত্তরের জন্যও নম্বর দেওয়া হয়েছিল।”

শিক্ষাবিদদের মতে, দেরিতে হলেও এ বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ শিক্ষার মান উন্নয়নের দিকেই এগিয়ে যাবে। এতে ফলাফল কিছুটা কমে গেলেও প্রকৃত জ্ঞান যাচাই সম্ভব হবে।

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, “শুধু জিপিএ ৫ পেয়ে ভালো কলেজে ভর্তি হতে না পারলে সে ফলাফলের কোনো বাস্তব মূল্য থাকে না। এখন আমরা গুণগত মানে গুরুত্ব দিচ্ছি, সংখ্যায় নয়।”

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, “আমরা নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোরতা বা অতিরিক্ত উদারতা চাই না, চাই নিরপেক্ষ ও বাস্তব মূল্যায়ন। আমাদের লক্ষ্য—ভালো শিক্ষার্থীদের উঠে আসা।”

এই নিয়ম চালু হলে চলতি বছর থেকেই এসএসসি ও এইচএসসিতে পাসের হার এবং জিপিএ ৫-এর সংখ্যা কিছুটা কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত