ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
যে কারণে ই'সরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাল ইরানের ই'হুদি-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়
.jpg)
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার হুমকির ঘটনায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির খ্রিস্টান, ইহুদি, জোরোঅ্যাস্ট্রিয়ান ও মান্দিয়ান সম্প্রদায়ের শীর্ষ প্রতিনিধিরা।
শনিবার (২১ জুন) প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এই হুমকিকে শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে নয়, বরং বিশ্বব্যাপী ধর্মবিশ্বাসীদের মূল্যবোধ ও আধ্যাত্মিক মর্যাদার ওপর আঘাত বলে উল্লেখ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঐশ্বরিক নেতা ও ধর্মীয় পণ্ডিতরা হলেন ধর্মবিশ্বাসীদের পরিচয়ের নিখুঁত প্রতিফলন। তাদের ওপর হামলা মানে শত কোটি মানুষের বিশ্বাস, অনুভূতি ও আস্থার ওপর সরাসরি আঘাত।
ধর্মগুরুরা সতর্ক করে বলেছেন, 'এই ধরনের হুমকি জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নিয়ম লঙ্ঘন করে। বিশেষ করে সার্বভৌম জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সুরক্ষার বিধানগুলোকে অমান্য করা হয়। ধর্মীয় নেতারা আরও বলেছেন, যদি এই ধরনের হুমকি আসন্ন বলে বিবেচিত হয় তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তা প্রতিরোধ করা হবে।'
এই হত্যার হুমকিকে একটি বৈশ্বিক ধর্মীয় ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের হুমকি কেবল এ অঞ্চলে নয়, এর বাইরেও ব্যাপক ও অনিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের ধর্মীয় ও আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও আইনি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট, প্রকাশ্য ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিত।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক উসকানিমূলক আগ্রাসনের পরই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি আসে। এসব হামলায় ইরানের একাধিক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এর জবাবে ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়, যাতে অধিকৃত বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত কৌশলগত ইসরায়েলি সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন—
বিশপ নার্সাই বেঞ্জামিন (ইরান, আর্মেনিয়া ও জর্জিয়ার অ্যাসিরিয়ান চার্চ অফ দ্য ইস্ট),
বিশপ ভারোশ আভাঞ্জিয়ান (তেহরান ও উত্তরের আর্মেনিয়ান ক্যালিফেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান),
রাব্বি ইউনেস হামামি লালেহজার (ইরানের ইহুদি সম্প্রদায়ের নেতা),
মোবাদ মেহেরবান পোলাদি (ইরানের জোরোঅ্যাস্ট্রিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান),
গানজোরা নেজাত চাহিলি (ইরানের সাবিআন মান্দায়ানদের ধর্মীয় নেতা)।
সূত্র: প্রেস টিভি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- রেকর্ড তলানিতে তিন কোম্পানির শেয়ার: বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ
- ঢাবিতে বিস্ফোরণের শব্দে প্রকম্পিত টিএসসি এলাকা