ঢাকা, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২
ঢামেক
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিলেও আন্দোলন স্থগিত কিংবা কলেজ ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেননি শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, একতরফা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং তারা হল ছাড়বেন না।
শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় ঢামেক কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট জানান, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এর আগে সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল করেন। বিকেলে কলেজ প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২২ জুন দুপুর ১২টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়তে হবে।
তৌহিদুল আবেদীন তানভীর নামক এক শিক্ষার্থী বলেন, "মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা হল ত্যাগ করছি না। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে একতরফাভাবে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে আমাদের হল থেকে বের করে দিতে চাওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়েছি, এটি অন্যায় নয়।"
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, "পরিত্যক্ত ভবনে জীবন ঝুঁকি নিয়ে থাকলেও সেটার বিকল্প ব্যবস্থা না করে উল্টো আন্দোলন দমন করতে প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এটা মেনে নিচ্ছি না। শান্তিপূর্ণভাবে হলে অবস্থান চালিয়ে যাব এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচিও চলবে।"
ঢাকা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। যারা বাড়ি থেকে অনেক দূরে থেকে পড়াশোনা করছেন, তারা জানাচ্ছেন, এখন হলে থাকতে না পারলে কোথায় যাবেন তা তারা জানেন না।
এ বিষয়ে এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, "বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়াই হলে তালা দেওয়ার নির্দেশ মানে আমাদের নিরাপত্তা ও শিক্ষা উভয়কেই হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া। আমরা আন্দোলনে আছি এবং থাকব।"
এর আগে দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘কলেজের চলমান অচলাবস্থা নিরসনের জন্য আগামী ২২ জুন ২০২৫ থেকে একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। সব ছাত্রছাত্রীকে দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তবে ওই নির্দেশনায় পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের এই নির্দেশনার বাইরে রাখা হয়েছে।
হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা তাদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাদের ভাষ্যে, শুধু আবাসনের সমস্যা নয়, নিরাপদ ও উপযোগী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
তাদের মূল দাবিগুলো হলো—
১. দ্রুত নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের জন্য বাজেট পাস করা,২. নতুন ভবন চালু না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা করা,৩. নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য বাজেট অনুমোদন,৪. পৃথক বাজেট বরাদ্দ ও দ্রুত বাস্তবায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ,৫. শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- ‘বিপর্যয় থেকে বিশ্ব মাত্র কয়েক মিনিট দূরে’
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা থেকে লোকসানে গেল চার ব্যাংক
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- একাধিক মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া
- দুর্বল ১৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিলুপ্তির চিন্তাভাবনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
- সাত কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের পুঁজির বড় অংশ উধাও
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাবিতে ক্লাস ছুটি কতদিন, যা জানা গেল
- লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান