ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
সিন্ধু চুক্তিতে ফিরবে না ভারত, কী করবে পাকিস্তান?

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেও চলছে উত্তেজনা। পেহেলগাম হামলার পর সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি বাতিল করে ভারত। নয়াদিল্লি পাকিস্তানের মধ্যে আন্তর্জাতিক তিনটি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি আর পুনর্বহাল করবে না বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই ঘোষণার পর এই চুক্তি পুনর্বহাল নিয়ে পাকিস্তানে যে আশাবাদ ছিল তাও ফিকে হয়ে গেল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে করা সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি আর কখনও পুনরায় কার্যকর করা হবে না। তিনি আরও জানান, পাকিস্তানে প্রবাহিত পানি এখন থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনেই ব্যবহার করা হবে।
আজ শনিবার (২১ জুন) টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তির আওতায় ভারত ও পাকিস্তান যৌথভাবে সিন্ধু নদী ব্যবস্থার পানি ব্যবহার করে আসছিল। তবে গত এপ্রিলে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে একটি হামলায় ২৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনার পর দিল্লি সেটিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং চুক্তি থেকে নিজেদের অংশগ্রহণ ‘স্থগিত’ করে দেয়।
এই চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তান তার ভূখণ্ডে প্রবাহিত তিনটি প্রধান নদীর পানি ব্যবহারের অধিকার পেয়ে আসছিল, যেগুলোর ওপর দেশটির ৮০ শতাংশ কৃষিকাজ নির্ভরশীল। যদিও পাকিস্তান হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবুও চুক্তিটি বর্তমানে অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের পর এক ধরনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, "না, এটা আর কখনো পুনর্বহাল হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে পানি এত দিন পাকিস্তানে যাচ্ছিল, সেটি আমরা রাজস্থানে নেওয়ার জন্য একটি খাল নির্মাণ করব। পাকিস্তান যে পানি এত দিন অন্যায়ভাবে পাচ্ছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।"
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য অমিত শাহের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পর সিন্ধু পানি চুক্তি নিয়ে নতুন করে কোনো আলোচনার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানে প্রবাহিত একটি প্রধান নদীর পানি সরিয়ে নেওয়ার হার বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ভারত। এটি ইসলামাবাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রয়টার্সের অনুরোধের পরও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য না করলেও অতীতে তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এই চুক্তি থেকে কোনো পক্ষ একতরফাভাবে সরে যেতে পারে না। এমনকি ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত নদীর পানি আটকে দেওয়া হলে তা ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও সতর্ক করেছে তারা।
এছাড়া ভারতের চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও চিন্তাভাবনা করছে পাকিস্তান।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ