ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
বিশ্বজুড়ে জন্মহারে রেকর্ড পতন

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) সম্প্রতি একটি উদ্বেগজনক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বিশ্বজুড়ে জন্মহারের নজিরবিহীন পতনের চিত্র ফুটে উঠেছে।
সংস্থাটির গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে শতকোটি মানুষ তাদের ইচ্ছানুযায়ী সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এই অবস্থার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সন্তান লালন-পালনের উচ্চ ব্যয় এবং উপযুক্ত জীবনসঙ্গীর অভাব।
ইউএনএফপিএ'র নির্বাহী পরিচালক ড. নাটালিয়া ক্যানেম এই পরিস্থিতিকে 'নজিরবিহীন' বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার মতে, বেশিরভাগ মানুষ দুটি বা তার বেশি সন্তান চাইলেও বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। সংস্থাটি ১৪টি দেশে পরিচালিত জরিপে এই তথ্য পেয়েছে, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনের একজন জানিয়েছেন যে তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক সন্তান নিতে পারছেন না।
এই গবেষণায় দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইতালি, হাঙ্গেরি, জার্মানি থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, নাইজেরিয়া পর্যন্ত বৈচিত্র্যময় দেশগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩৯ শতাংশ অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতাকে প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন, বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় এই হার ৫৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এছাড়া প্রায় ১২ শতাংশ উত্তরদাতা বন্ধ্যাত্ব বা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যে ৩১ শতাংশ স্বীকার করেছেন যে তারা আরও বেশি সন্তান চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, সময়ের অভাবও একটি বড় সমস্যা হিসেবে উঠে এসেছে, যা অর্থনৈতিক বাধাগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে।
জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক স্টুয়ার্ট গিয়েটেল-বাস্তেন এই গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন যে ইউএনএফপিএ প্রথমবারের মতো কম জন্মহারের বিষয়ে এত স্পষ্টভাবে কথা বলছে। তিনি সতর্ক করেছেন যে কিছু দেশ এই অবস্থাকে জাতীয়তাবাদী ও রক্ষণশীল নীতির অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।
ড. ক্যানেম জনসংখ্যা সংক্রান্ত অতিরঞ্জিত আলোচনার বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন যে ৪০ বছর আগে যেসব দেশ জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে সমস্যা মনে করত, তারা এখন বিপরীত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ইউএনএফপিএ এই বছরের শেষ নাগাদ আরও ৫০টি দেশে বিস্তৃত গবেষণা পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে, যা এই বৈশ্বিক প্রবণতা সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা দেবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির
- শেয়ারবাজারে হাজার কোটির ক্লাবে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি