ঢাকা, শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

গাজায় ত্রাণের লাইনে মৃত্যুর মিছিল

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ আগস্ট ০১ ১৭:৪৪:২৫
গাজায় ত্রাণের লাইনে মৃত্যুর মিছিল

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শুধুমাত্র খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার ফিলিস্তিনি। শুক্রবার (১ আগস্ট) জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক মানবাধিকার অফিস প্রকাশিত এক প্রকাশিত প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হয়। শুধুমাত্র মে মাসের শেষ দিক থেকে এখন পর্যন্ত ১,৩৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যা গাজা মানবিক ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণকেন্দ্রের সামনে কিংবা সেখানে যাওয়ার পথে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, নিহতদের মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত জিএইচএফ ত্রাণকেন্দ্রের অভ্যন্তরে, এবং ৫১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন সেসব কেন্দ্রে যাওয়ার সময় পথে। সংস্থাটি দাবি করেছেন, বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডই সংঘটিত করেছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা, যারা‘সতর্কতামূলক গুলি’র নামে সরাসরি প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়, “২৭ মে থেকে শুরু করে মানবিক সহায়তার খোঁজে বেরিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এ সকল অসহায় মানুষরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা খাদ্য ও পানির সন্ধানে গিয়েছিলেন।”

দখলদার ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, তারা নিরাপত্তার কারণে গুলি ছোড়ে, তবে ঘটনাস্থলের বাস্তবতা এবং জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে ভিন্ন কথা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের তথ্য অনুসারে, নিহতদের অনেকেই শিশু, নারী এবং বয়স্ক, যাদের হাতে ছিল না কোনো অস্ত্র—ছিল শুধু ক্ষুধার্ত জীবনের আর্তি যা বিশ্ব মিডিয়ায় তা তুলে ধরা হয়েছে।

ঘটনার জেরে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করছে, এটি যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়ে এবং আন্তর্জাতিক তদন্ত হওয়া উচিত।

প্রতিবেদন প্রকাশের পর চাপের মুখে ইসরায়েল এখন কিছু আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে। তবে বাস্তবতার নিরিখে, ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না অনেক জায়গায়—আর যেখানেই যাচ্ছে, সেখানেও তীব্রভাবে রক্ত ঝরছে।

গাজায় চলমান এই মানবিক বিপর্যয় বন্ধে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সেবামূলক সংস্থা ।এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত