ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২
চবির ছাত্রী হলে সান্ধ্য আইন, দেরিতে ফিরলেই ‘সিট বাতিল’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রীদের রাত ১০টার পর হলে ফিরলে সিট বাতিলের ‘হুমকি’ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সহকারী প্রক্টর নিজে হলে এসে ছাত্রীদের হলে ফেরার নির্দেশ দেন এবং ১০টা ১ মিনিটেও হলে না ফিরলে ‘সিট বাতিল’ করা হবে বলে জানান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপ্লবী উদ্যান ও লেডিস ঝুপড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “প্রক্টরিয়াল টিম এসে মেয়েদের সোজা বলে দেয় ১০টার পর কেউ বাইরে থাকলে সিট থাকবে না।”
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সহকারী প্রক্টর নাজমুল হোসেইন বলেন, ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবং পূর্বনির্ধারিত নির্দেশনার ভিত্তিতে তাদের হলে ফিরতে বলা হয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীরা বিষয়টিকে একপাক্ষিক, বৈষম্যমূলক এবং নারী বিদ্বেষী আচরণ হিসেবে দেখছেন। চবির সাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিকদার বলেন, “এটি স্পষ্টত নারী বিদ্বেষ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত একনায়কতান্ত্রিক মনোভাবের প্রকাশ। আমরা প্রতিবাদ গড়ে তুলব।”
চারুকলার শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী বলেন, “সান্ধ্য আইন তো রাষ্ট্র জারি করে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন তা মেয়েদের ওপর চাপিয়ে দেবে? এটা অপমানজনক ও বৈষম্যমূলক। অনেক শিক্ষার্থী টিউশন বা চাকরি করে রাতেই হলে ফেরে।”
এ প্রসঙ্গে বিজয় ২৪ হলের প্রভোস্ট ড. জান্নাত আরা পারভীন জানান, “রাত ১০টার মধ্যে হলে ফেরা নিয়ম অনেক আগে থেকেই আছে। কেউ নিয়মিত দেরি করলে সতর্ক করা হয়, প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে সিট একবারেই বাতিল হয় না।”
তিনি আরও বলেন, “রাত ২টা-৩টা পর্যন্ত বাইরে ঘোরাঘুরি হলে হলের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। ১০টা একটা মানসম্মত সময়। যারা নিয়ম মানে না, তারা ভালো শিক্ষার্থী নয়।”
চবি প্রক্টর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, “কিছু অন্ধকার ও অনিরাপদ জায়গা আছে যেখানে রাতে শিক্ষার্থীদের থাকা উচিত নয়। সম্প্রতি গাঁজাসহ কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। নির্দেশনাটি মূলত এমন জায়গাগুলোর জন্য। লাইব্রেরি বা শহীদ মিনারের মতো জায়গায় থাকায় সমস্যা নেই।”
তিনি বলেন, “রাত ১০টার পর হলে ফিরতে চাইলে আগেই হলে জানাতে হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কঠোর নির্দেশনা জারি হয়নি।”
শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিয়মের আড়ালে আসলে নারীদের চলাফেরার স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত নিরাপত্তা জোরদার করা, কারফিউ জারি নয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- মিরাকেলের বিরুদ্ধে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপন করার অভিযোগ
- বড় পতনের মধ্যেও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের নতুন ঢেউ