ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

মোমিনের কষ্ট বৃথা যায় না: ধৈর্যই গুনাহ মাফের চাবিকাঠি

ডুয়া নিউজ- লাইফস্টাইল
২০২৫ জুন ১০ ১৬:১৩:৩৯
মোমিনের কষ্ট বৃথা যায় না: ধৈর্যই গুনাহ মাফের চাবিকাঠি

একজন মোমিনের জীবনে কিছুই বৃথা যায় না। সে যে পরিস্থিতিতেই পড়ুক না কেন, তার দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ-আপদ সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরস্কারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এইসব কষ্টের মাধ্যমে তার গুনাহ মাফ করা হয়, যা মুমিনের জন্য এক ধরনের নেয়ামত ও রহমত।

তবে এ নেয়ামতের উপযুক্ত হওয়ার শর্ত হলো—সবর। যদি কেউ ধৈর্য না ধরে, তবে সে কষ্ট কেবলই যন্ত্রণা হয়ে থাকবে; তা থেকে কোনো উপকার লাভ হবে না। কষ্ট কমেও না, আবার তা থেকে পরকালীন সাওয়াবও পাওয়া যায় না।

বুদ্ধিমানের কাজ হলো, পরীক্ষার সময় ধৈর্যধারণ করা। তাতে যন্ত্রণার মাঝেও কষ্ট বৃথা যায় না। বরং পাপ মোচন হয় এবং কখনো কখনো কষ্টও লাঘব পায়।

নবী করিম (সা.) এর বাণী অনুযায়ী, হজরত আবু সাঈদ খুদরী ও আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন—"কোনো মুসলমানের ওপর যখন দুঃখ, রোগ, চিন্তা, উদ্বেগ কিংবা কাঁটা বিদ্ধ হওয়ার মতো সামান্য কষ্টও আসে, তাও আল্লাহ তার গুনাহ মোচনের কারণ বানিয়ে দেন" (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫২৩৯)।

তবে মনে রাখতে হবে—এই কষ্ট ও বিপদকে ‘নেয়ামত’ জেনে তা চাওয়াও ঠিক নয়। যেমন: কারও উচিত নয় এভাবে দোয়া করা, ‘হে আল্লাহ! আমাকে দুনিয়াতে কষ্ট দিয়ে পরকালের শাস্তি থেকে মুক্তি দিন।’ বরং বান্দার কর্তব্য হলো সব সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিপদ এলে তাতে ধৈর্য ধারণ করা।

বিপদ কামনা করা নিজেকে সাহসী প্রমাণের মতো একটি অশোভন মনোভাব। বরং প্রকৃত বান্দা সেই, যে নিজের দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা বুঝে আল্লাহর কাছে শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করে।

নবীজি (সা.)-ও আমাদের এ শিক্ষাই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে মানুষ! তোমরা শত্রুর সম্মুখীন হওয়ার কামনা করো না; বরং আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করো। তবে শত্রুর মুখোমুখি হলে ধৈর্য ধরো।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৩৯২)।

সুতরাং মোমিনের জন্য প্রকৃত করণীয় হলো—বিপদের সময় সবর করা এবং সব সময় সুস্থতা ও শান্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত