ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
ভারতে গাড়ি উৎপাদন থেকে সরে গেলো টেসলা
.jpg)
বিশ্বখ্যাত বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ভারতের বাজারে গাড়ি উৎপাদনে আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। সোমবার (২ জুন) বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন উৎসাহিত করতে ভারতের নতুন একটি প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়ার দিনে তিনি এ কথা জানান।
গত মার্চে বৈশ্বিক ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকল) নির্মাতাদের আকৃষ্ট করতে ভারত সরকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। তবে এতেও ইলন মাস্ককে ভারতীয় বাজারে বিনিয়োগে রাজি করানো যায়নি। এবারই প্রথম ভারতের পক্ষ থেকে টেসলার অনাগ্রহের বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করা হলো।
তবে গাড়ি উৎপাদনে অংশ না নিলেও টেসলা ভারতীয় বাজারে দুটি শোরুম চালু করবে এবং খুচরা বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রী কুমারস্বামী। তিনি আরও জানান, মার্সিডিজ বেঞ্জ, স্কোডা-ভক্সওয়াগেন, হুন্দাই ও কিয়ার মতো কোম্পানিগুলো ভারতের ইভি উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু টেসলার কাছ থেকে তেমন কিছু প্রত্যাশা করছেন না তারা।
ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানান, প্রথম দফায় আলোচনায় টেসলার প্রতিনিধি অংশ নিলেও পরে আর কোনো বৈঠকে অংশ নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেন, টেসলা যদি ভারতে কারখানা গড়ে তোলে, তবে তা হবে ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অবিচার’’।
গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের বাজারে প্রবেশের বিষয়ে আলোচনা চলছিল টেসলার সঙ্গে। ২০২২ সালে টেসলা ভারতের বাজারে কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নিলেও, সরকার স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের শর্ত দেওয়ায় সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়। টেসলা চেয়েছিল শুরুতে রপ্তানির মাধ্যমে বাজার যাচাই করতে।
২০২৩ সালে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, তিনি ভারতের বাজারে বিনিয়োগের ‘‘সঠিক সময়’’ খুঁজছেন। ওই বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে সাক্ষাৎও করেন মাস্ক। তবে সেসব আলোচনা কেবল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন কেন্দ্রিক ছিল।
ভারত সরকার গত বছর জানায়, বৈশ্বিক গাড়ি নির্মাতারা যদি ৫০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ এবং তিন বছরের মধ্যে স্থানীয় উৎপাদনের অঙ্গীকার করে, তাহলে আমদানি শুল্কে ছাড় দেওয়া হবে। কারণ ইলন মাস্ক অভিযোগ করেছিলেন, উচ্চ শুল্কের কারণে টেসলা ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের বর্তমান ইভি বাজার টেসলার জন্য এখনও প্রস্তুত নয়। বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার দেশের মোট যাত্রীবাহী গাড়ির মাত্র ৩ শতাংশ। টেসলার বেসিক মডেলের তুলনায় স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর গাড়ির দাম প্রায় অর্ধেক। এছাড়া চার্জিং অবকাঠামোর অভাব ও সড়ক ব্যবস্থাও বড় বাধা।
বর্তমানে ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে শীর্ষে রয়েছে টাটা মোটরস, যাদের দখলে রয়েছে ৬০ শতাংশ শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এমজি মোটরস, যেটি চীনা প্রতিষ্ঠান ও ভারতের জেএসডব্লিউ-এর যৌথ মালিকানাধীন এবং বাজারের প্রায় ২২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
সূত্র: বিবিসি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- এক বহুজাতিকের ধাক্কায়ই কেঁপে উঠল শেয়ারবাজার
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৬৫ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- সাত কোম্পানিতে বিনিয়োগ বেড়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ঢাবির হলে ধূমপায়ীদের সিট না দেওয়ার ঘোষণা; প্রশংসায় ভাসছেন প্রভোস্ট
- ইপিএস প্রকাশ করার তারিখ জানাল ১৫ প্রতিষ্ঠান
- স্টক ডিভিডেন্ড পেল ৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- শেয়ারবাজারে বড়দের দাপট, ছোটদের পিছুটান
- ২৬ জুলাই : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর