ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
শিক্ষকদের জন্য সুখবর
.jpg)
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষকদের জন্য এসেছে একাধিক ইতিবাচক উদ্যোগ। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বোনাস বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রাচ্যুইটির পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি তাদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে সহায়ক হবে।
এছাড়াও শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব স্তরের শিক্ষককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
আজ সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন বিটিভিতে বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য তুলে ধরেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “শিক্ষকদের মানবসম্পদ উন্নয়নকে বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বোনাস ও গ্রাচ্যুইটির পরিমাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় মোট ৬২টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় ৫১ লাখ, উচ্চ মাধ্যমিকে ৮ লাখ এবং স্নাতক পর্যায়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “২০২৫-২৬ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায় বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা, যা আগের বছরের ৪৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকার থেকে বাড়ানো হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং তাদের আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধিতে আরও কাজ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। শিক্ষকদের প্রণোদনা বাড়ানো এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করার মাধ্যমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আরও উন্নত ও গতিশীল হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এটি দেশের জিডিপির ৯ শতাংশের সমান। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে। বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। এই ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ ও সঞ্চয়পত্রের উপর নির্ভর করবে। এ বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিস্তার, কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ- বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- লাইভে এসে হিরো আলমের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- শিক্ষা ক্যাডারে ৪৯তম বিশেষ বিসিএস সার্কুলার প্রকাশে পিএসসির চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- মৌসুমী-হাসান জাহাঙ্গীরের বিয়ে: ওমর সানীর ‘জুতাপেটা’র হুমকি
- ঘুরে দাঁড়ানোর পথে দেশের শেয়ারবাজার: দৃশ্যমান হচ্ছে ইতিবাচক পদক্ষেপ
- ভারতে রেড অ্যালার্ট জারি!
- ছাত্রদল সভাপতির পদ হারিয়েছেন রাকিব! যা জানা গেল
- মূলধন বাড়াতে রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত
- ইপিএস প্রকাশ করেছে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানি
- সাবেক উপদেষ্টা গ্রেপ্তার:চাঞ্চল্যকর তথ্য