ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২
তুরস্কের পর এবার আমেরিকা বয়কটের ডাক ভারতীয়দের, ভুলতেই পারছে না শোক

ডুয়া ডেস্ক: পাকিস্তানকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে তুরস্ক ও আজারবাইজানকে বয়কটের ডাক দেওয়ার পর এবার আমেরিকাকেও সেই তালিকায় যুক্ত করেছে একাংশ ভারতীয় নাগরিক। 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযানে ভারতের সামরিক আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা আঘাত এখনও অনেক ভারতীয়র মনে ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে – যার প্রতিফলন ঘটছে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ায়।
‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক সংঘাতে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তুরস্ক ও আজারবাইজানে ভ্রমণ বাতিল করেছেন বহু ভারতীয় পর্যটক। এবার সেই ক্ষোভের রেশ গিয়ে ঠেকেছে আমেরিকার ওপর। পরিচিত ভারতীয় বিনিয়োগকারী শঙ্কর শর্মা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ আহ্বান জানিয়েছেন, আমেরিকাতেও যেন ভারতীয়রা ভ্রমণ বা ব্যবসা না করেন।
তিনি লিখেছেন: "মেক মাই ট্রিপ, ইজ মাই ট্রিপের মতো সংস্থাগুলিকে অবিলম্বে আমেরিকায় বুকিং বন্ধ করা উচিত। আমরা এমন দেশে যেতে পারি না যারা আমাদের শত্রুদের বন্ধুদের সমর্থন করে!"
শঙ্করের এই মন্তব্যের পেছনে কারণ হিসেবে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের তুরস্ককে ৩০৪ মিলিয়ন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন। এই চুক্তির আওতায় আধুনিক এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলসহ বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে, যা পাকিস্তানের সহযোগী তুরস্কের সামরিক ক্ষমতা আরও বাড়াবে বলে অনেক ভারতীয়ের আশঙ্কা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ৮ মে থেকে শুরু হওয়া বয়কট আন্দোলনে অনেক ভারতীয়ই পাকিস্তানঘেঁষা অবস্থান নেওয়া দেশগুলোর বিরুদ্ধে ছুটি, বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন।
তবে এই বয়কট আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ফেসবুক ব্যবহারকারী নিলাম পাটেল মন্তব্য করেন:
"এই সব শুরু হওয়ার এক মাস আগেই আমি তুরস্কে ছিলাম। ১০ দিনের মধ্যে মাত্র একটি ভারতীয় পরিবার দেখেছি। ৯৯% পর্যটকই রাশিয়ান বা ব্রিটিশ। সুতরাং আমাদের না যাওয়ায় তুরস্কের খুব একটা ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না। আর চীন তো পাকিস্তানকে কামান দিচ্ছে – তাকে তো কেউ বয়কট করছে না! বরং তাদের পণ্য কিনেই পরোক্ষভাবে পাকিস্তানকে সাহায্য করছি আমরা!"
এই বিতর্ক দেখাচ্ছে, ভারতের সামাজিক মাধ্যম এখন দুই মেরুতে বিভক্ত – একদিকে ‘দেশপ্রেমে’ উদ্বেল প্রতিক্রিয়া, অন্যদিকে ‘বাস্তববাদী’ সমালোচনা।
এখন দেখার বিষয় এই বয়কট আহ্বান কতটা প্রভাব ফেলতে পারে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর কতটুকু থেকে যাবে শুধুই সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশের মধ্যে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- অতর্কিত ঢাবি ও জবির ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত
- শেখ সেলিমের ২১টি বিও অ্যাকাউন্ট ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে: বাগছাস
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- আ’লীগকে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টায় বামপন্থীরা: ঢাবি শিবির