ঢাকা, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২
পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে কাশ্মীর নিয়ে নতুন চাপে মোদি
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: পাকিস্তানে হামলার জেরে কাশ্মীর ইস্যুতে নতুন করে তীব্র চাপের মুখে পড়েছে ভারত। শুরুতে ভারত-পাকিস্তান পাল্টা হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র নির্লিপ্ত অবস্থান নেয়—মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছিল, এই সংঘাত তাদের উদ্বেগের কারণ নয়। তবে হঠাৎ করেই ভিন্ন ভূমিকায় হাজির হন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করে যুদ্ধবিরতিতে সহায়তা করেন। এরপর থেকেই কাশ্মীর ইস্যুতে দৃশ্যপট নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন হতে শুরু করে।
দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীর ইস্যুতে কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান বজায় রেখেছে ভারত। এই বিষয়ে মধ্যস্থতা যেন নীতিগতভাবেই দিল্লির পররাষ্ট্রনীতিতে নিষিদ্ধ। তবে সেই দীর্ঘস্থায়ী কৌশলে হঠাৎই ভাঙন ধরালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক ঘোষণায় তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চার দিন ধরে চলা সামরিক উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান।
কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তার এই প্রস্তাব ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, ভারত বহু বছর ধরেই কাশ্মীরকে নিজেদের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ বলে দাবি করে আসছে এবং তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপকে নিজেদের দ্বিপাক্ষিক নীতির পরিপন্থী হিসেবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ফলে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব ভারতের ঐতিহাসিক অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে পড়েছে।
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শ্যাম শরণ বলেন, “অবশ্যই ভারতীয় পক্ষ এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানাবে না। এটি আমাদের বহু বছরের স্থায়ী অবস্থানের পরিপন্থী।”
অন্যদিকে, ইসলামাবাদ ট্রাম্পের প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “জম্মু- কাশ্মীর সংকট সমাধানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আগ্রহকে আমরা স্বাগত জানাই। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, যার প্রভাব দক্ষিণ এশিয়া ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে।”
কাশ্মীর সংকটের সূত্রপাত ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর থেকেই। উভয় দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এবং একাধিকবার এই ইস্যুতে সামরিক সংঘাতে জড়িয়েছে।
সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত হামলার জন্য একতরফাভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করলেও, পাকিস্তান তা অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে। উভয় দেশই সীমান্তে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে, ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে ভারত চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। যদিও মার্কিন প্রশাসনের আগের কিছু উদ্যোগে সীমিত সফলতা ছিল, কাশ্মীর ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ভারতের পক্ষ থেকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা হয়নি।
সূত্র: বিবিসি, এপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি