ঢাকা, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
এরদোয়ানের বিরাট সাফল্য, বিলুপ্ত কুর্দি

ডুয়া ডেস্ক: চার দশকের সশস্ত্র লড়াই শেষে অস্ত্র ছেড়ে শান্তির পথ বেছে নিয়েছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। সোমবার (১২ মে) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এই সিদ্ধান্তকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের জন্য এক ঐতিহাসিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিবৃতিতে পিকেকে জানায়, তারা সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করছে। এখন সময় এসেছে তুর্কি-কুর্দি সম্পর্ককে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার। সংগঠনটি আরও জানায়, কুর্দি রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর এখন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দায়িত্ব বর্তেছে এবং পিকেকে তার ‘ঐতিহাসিক মিশন’ সম্পন্ন করেছে।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে তুরস্ক ও ইরাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চার দশক ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটল, যেখানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪০ হাজার মানুষ।
পিকেকের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা আবদুল্লাহ ওজালান, যিনি ১৯৯৯ সাল থেকে তুরস্কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে কারাবন্দি, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সশস্ত্র সব গ্রুপ ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি একটি কংগ্রেসের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেন, যা সম্প্রতি ইরাকের কান্দিল পর্বতমালায় একটি যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে কার্যকর হয়।
এই ঘোষণা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য একটি কৌশলগত বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন একেপি পার্টির মুখপাত্র ওমর সেলিক বলেন, সিদ্ধান্তটি যদি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। তিনি আরও বলেন, “ওজালানের আহ্বানের পর পিকেকের আত্মসমর্পণ সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্ক গঠনের পথে বড় পদক্ষেপ।”
এরদোয়ানও সম্প্রতি এক ভাষণে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সন্ত্রাসের অবসান খুব শিগগিরই আসতে চলেছে।
উল্লেখ্য, কুর্দিদের জন্য স্বাধীন মাতৃভূমির দাবিতে ১৯৮৪ সালে বিদ্রোহ শুরু করে পিকেকে। তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সহিংসতা চরমে ওঠে। পাশাপাশি সিরিয়ায় কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলেও অভিযান চালায় তুরস্ক-সমর্থিত বাহিনী।
তবে ওজালানের শান্তির আহ্বান এবং পিকেকের বিলুপ্তির ঘোষণার পর এসব সংঘাত থামার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তুরস্কের অনেক কুর্দি নেতাও সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের নানা অঞ্চলে বসবাস করত কুর্দিরা। যুদ্ধের পর জাতিরাষ্ট্রের ভাগে তারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পায়নি, বরং ইরাক, ইরান, সিরিয়া ও তুরস্কে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির নতুন দিগন্ত খুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাইভে এসে হিরো আলমের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসসি
- শেয়ার কারসাজিতে ১৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ২.৫২ কোটি টাকা জরিমানা
- শিক্ষা ক্যাডারে ৪৯তম বিশেষ বিসিএস সার্কুলার প্রকাশে পিএসসির চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি
- মৌসুমী-হাসান জাহাঙ্গীরের বিয়ে: ওমর সানীর ‘জুতাপেটা’র হুমকি
- বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দেয়ায় ক্যাটাগরি উন্নতি
- মূলধন বাড়াতে রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত
- সাবেক উপদেষ্টা গ্রেপ্তার:চাঞ্চল্যকর তথ্য
- শেয়ারবাজার বাঁচাতে অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি
- বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে কর, বাড়ছে সুযোগ
- প্রথমবারের মতো লোকসানে কোম্পানি, ডিভিডেন্ডও তলানিতে
- শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চান বিনিয়োগকারীরা
- বিচ হ্যাচারি: ঝলমলে অবস্থান থেকে হঠাৎ অন্ধকারে!
- ডিএসইর চোখে বাজেট শেয়ারবাজারবান্ধব
- শেয়ারবাজারের ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূত করতে রোডম্যাপ ঘোষণা