ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
এরদোয়ানের বিরাট সাফল্য, বিলুপ্ত কুর্দি

ডুয়া ডেস্ক: চার দশকের সশস্ত্র লড়াই শেষে অস্ত্র ছেড়ে শান্তির পথ বেছে নিয়েছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। সোমবার (১২ মে) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এই সিদ্ধান্তকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের জন্য এক ঐতিহাসিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিবৃতিতে পিকেকে জানায়, তারা সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করছে। এখন সময় এসেছে তুর্কি-কুর্দি সম্পর্ককে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার। সংগঠনটি আরও জানায়, কুর্দি রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর এখন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দায়িত্ব বর্তেছে এবং পিকেকে তার ‘ঐতিহাসিক মিশন’ সম্পন্ন করেছে।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে তুরস্ক ও ইরাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চার দশক ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটল, যেখানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪০ হাজার মানুষ।
পিকেকের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা আবদুল্লাহ ওজালান, যিনি ১৯৯৯ সাল থেকে তুরস্কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে কারাবন্দি, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সশস্ত্র সব গ্রুপ ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি একটি কংগ্রেসের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেন, যা সম্প্রতি ইরাকের কান্দিল পর্বতমালায় একটি যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে কার্যকর হয়।
এই ঘোষণা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য একটি কৌশলগত বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন একেপি পার্টির মুখপাত্র ওমর সেলিক বলেন, সিদ্ধান্তটি যদি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি একটি নতুন যুগের সূচনা করবে। তিনি আরও বলেন, “ওজালানের আহ্বানের পর পিকেকের আত্মসমর্পণ সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্ক গঠনের পথে বড় পদক্ষেপ।”
এরদোয়ানও সম্প্রতি এক ভাষণে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সন্ত্রাসের অবসান খুব শিগগিরই আসতে চলেছে।
উল্লেখ্য, কুর্দিদের জন্য স্বাধীন মাতৃভূমির দাবিতে ১৯৮৪ সালে বিদ্রোহ শুরু করে পিকেকে। তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সহিংসতা চরমে ওঠে। পাশাপাশি সিরিয়ায় কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলেও অভিযান চালায় তুরস্ক-সমর্থিত বাহিনী।
তবে ওজালানের শান্তির আহ্বান এবং পিকেকের বিলুপ্তির ঘোষণার পর এসব সংঘাত থামার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তুরস্কের অনেক কুর্দি নেতাও সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের নানা অঞ্চলে বসবাস করত কুর্দিরা। যুদ্ধের পর জাতিরাষ্ট্রের ভাগে তারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পায়নি, বরং ইরাক, ইরান, সিরিয়া ও তুরস্কে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির নতুন দিগন্ত খুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- শেয়ারবাজারে বড়দের দাপট, ছোটদের পিছুটান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৪ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- বিকালে আসছে ২১ কোম্পানির ইপিএস
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- শিবলী রুবাইয়াত ও শেখ শামসুদ্দিন শেয়ারবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১২ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস