ঢাকা, সোমবার, ২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিষ্মিত হয় ভারত: সিএনএন
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: টানা কয়েকদিনের সংঘাতের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান। হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছানোর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে আসে দুই দেশ।
মূলত, ভারতের চালানো হামলার পাল্টা জবাবে পাকিস্তান যে মাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখায়, তা ভারতকে বিস্মিত করে তোলে। এরপরই উভয় পক্ষ আলোচনায় আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং সমঝোতার লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে অংশ নেয়।
সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় সময় শনিবার (১০ মে) নিজেদের লাইভ আপডেটে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ভূমিকা ছিল বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান সরকারের একটি সূত্র। ওই সূত্রটি (সংঘাত নিরসনে) আলোচনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি সিএনএনকে জানান, “দু’দেশের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের পর যখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তখনই এই চুক্তির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়।”
সূত্রটি সিএনএনকে বলেন, “শুক্রবার উভয় পক্ষ শান্তিচুক্তির পথে অগ্রসর হচ্ছিল, কিন্তু শনিবার ভোরে ভারত তিনটি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে ইসলামাবাদ বিস্মিত হয়।”
পাকিস্তানের ধারণা ছিল, কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে তারা পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতের বিমানঘাঁটি ও কাশ্মীর সীমান্তে অবস্থিত সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর বড় ধরনের হামলা চালায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই হামলা ছিল “চোখের বদলে চোখ” নীতির বাস্তব প্রয়োগ।
সূত্রটি আরও জানান, ‘পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণের মাত্রায় ভারত হতবাক হয়ে পড়ে। এরপর শনিবার উভয় পক্ষ আলোচনায় আন্তরিকভাবে অংশ নিতে শুরু করে। যদিও আলোচনা চলার সময়ও ভারত কিছু রকেট নিক্ষেপ করেছিল এবং পাকিস্তান তার পাল্টা জবাবও দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের আশ্বাসের কারণে আলোচনা থেমে যায়নি।’
পাকিস্তানি ওই সূত্রটি আরও জানায়, “যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও (ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে) এই আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘বড় ভূমিকা’ পালন করেন। পাশাপাশি সৌদি আরব ও তুরস্কের কর্মকর্তারাও আলোচনায় যুক্ত ছিলেন।”
শনিবার বিকালের পর থেকে উভয় পক্ষই আর নতুন করে কোনো হামলা চালায়নি। তার দুই ঘণ্টা পর আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে কীভাবে রুবিও ভারতের সম্মতি আদায় করেন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র কিছু জানাননি। এ নিয়ে ভারতীয় কর্মকর্তাদের অবস্থান কিছুটা ভিন্ন। তাদের মতে, যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি মূলত পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার ফল; যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা এতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেনি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- ভারতে রেড অ্যালার্ট জারি!
- ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে দুই কোম্পানি