ঢাকা, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২
ভবিষ্যতে যেকোনো সন্ত্রা’সী হামলা যু’দ্ধ ঘোষণার ইঙ্গিত ধরা হবে: ভারত
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: ভবিষ্যতে ভারতের মাটিতে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলাকে সরাসরি যুদ্ধের শামিল হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে নয়াদিল্লি।
একইসঙ্গে বলা হয়েছে, এমন কোনো হামলা হলে তাৎক্ষণিক ও সমপর্যায়ের সামরিক জবাব দেওয়া হবে। ভারতীয় সরকারের ভাষায়, সন্ত্রাস মোকাবিলায় এবার কোনো রকম ‘ছাড়’ দেবে না তারা।
আজ শনিবার (১০ মে) বিকেলে দেশটির উচ্চপর্যায়ের সরকারি সূত্রের বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করে ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশলে বড় পরিবর্তন এনেছে ভারত। সীমান্তে চলমান উত্তেজনা এবং সাম্প্রতিক হামলাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, ভবিষ্যতে কোনো হামলা হলে তা যুদ্ধ ঘোষণার ইঙ্গিত বলেই বিবেচিত হবে।’
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন শহর পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান ২৬ নিরীহ পর্যটক। ভারত অভিযোগ করে, এই হামলার পেছনে রয়েছে পাকিস্তান থেকে পরিচালিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো। তবে ইসলামাবাদ আগের মতোই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই ঘটনার পর থেকেই কাশ্মীর সীমান্তে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। টানা ১২ রাত ধরে সীমান্তজুড়ে চলে গোলাগুলি ও পাল্টাপাল্টি হামলা। এর জবাবে ভারত গত মঙ্গলবার চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’, যার আওতায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অন্তত ৯টি স্থাপনায় মিসাইল হামলা চালানো হয়।
ভারতের অভিযানের জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা শুরু করে। শুক্রবার (৯ মে) মধ্যরাতে তারা শুরু করে ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’। ইসলামাবাদ দাবি করেছে, তারা ভারতের অভ্যন্তরে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে এবং দিল্লির এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করেছে।
পাশাপাশি, পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের শাসক দল বিজেপি ও সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালিয়ে সেগুলো হ্যাক করেছে। তবে এসব দাবির কোনো স্বাধীন ও নিরপেক্ষ যাচাই এখনো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় এখনো সক্রিয় রয়েছে বহু জঙ্গি ক্যাম্প। এসব ক্যাম্প সেনা স্থাপনার কাছাকাছিই পরিচালিত হচ্ছে, যা থেকে বোঝা যায়, পাকিস্তান রাষ্ট্রীয়ভাবেই এসব তৎপরতায় জড়িত। দিল্লি এখন এসব ঘটনাকে আর আলাদা সন্ত্রাস হিসেবে দেখছে না, বরং তা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও পরোক্ষ যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করছে।’
এই অবস্থায় ভারত স্পষ্ট করেছে, ‘ভবিষ্যতে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলার অর্থই হবে যুদ্ধ, আর সে যুদ্ধের জবাব দেওয়া হবে উপযুক্ত সামরিক কৌশলে।’
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- শিবলী রুবাইয়াত ও শেখ শামসুদ্দিন শেয়ারবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১২ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৯ কোম্পানি
- ‘মুজিব’স ব্লান্ডার্স’: নেপথ্যের ষড়যন্ত্র উন্মোচন