ঢাকা, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দাবি ভারতের
এগিয়ে আসছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী

ডুয়া ডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। বিশ্লেষকরা পারমাণবিক যুদ্ধও অসম্ভব নয় বলে মনে করছেন। দুই দেশের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা তো চলছেই, পাশাপাশি অভিযোগ পাল্টা অভিযোগও চলছে।
এবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ‘তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে নিয়ে আসছে, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করার আক্রমণাত্মক ইঙ্গিত দেয়’ বলে অভিযোগ করেছে ভারত। তবে পাকিস্তান এখনো এ অভিযোগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার (১০ মে) এক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, “পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে সরিয়ে নিচ্ছে, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করার আক্রমণাত্মক অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দেয়।”
এ জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন উচ্চ পর্যায়ের অভিযানের প্রস্তুতিতে রয়েছে বলেও জানান তিনি। কর্নেল সোফিয়া বলেন, “সব ধরনের শত্রুভাবাপন্ন কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে প্রতিহত করা হয়েছে এবং যথাযথভাবে জবাব দেওয়া হয়েছে।”
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এর প্রতিশোধ নেয়, তবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী উত্তেজনা না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
আজকের ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) উইং কমান্ডার ভূমিকা সিং। তাঁরা উভয়েই জানান, গতকাল রাতে উধমপুর, পাঠানকোট এবং বাথিন্ডায় ভারতীয় বিমান ঘাঁটিগুলিতে আক্রমণ করেছে পাকিস্তান। তবে এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি তারা।
জানা গেছে, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর প্রতিশোধ হিসেবে গতকাল রাত থেকে অপারেশন ‘বানিয়ান উন মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ‘তারা ভারতের অত্যাধুনিক এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।’
তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, “তারা ভারতের বিরুদ্ধে একটি সাইবার হামলা চালিয়ে শাসক দল বিজেপিসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। এ ছাড়া ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের বিয়াসে থাকা একটি ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করার দাবি করেছে পাকিস্তান।”
তবে এসব তথ্য এখনো নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরে চলা ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের সর্বশেষ উত্তেজনা শুরু হয় ২২ এপ্রিল। ওইদিন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুক হামলায় নিহত হয় ২৬ জন। নয়াদিল্লি এ ঘটনার জন্য সরাসরি ইসলামাবাদকে দায়ী করে। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে এবং একটি নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানায়। এর পর ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায় ভারত। এরপর থেকে চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা এবং প্রাণহানির ঘটনা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- নানামুখী চেষ্টার পরও ভেঙে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা