ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে দ্য সুইফটের ৫ ভবিষ্যদ্বাণী

ডুয়া ডেস্ক নিউজ: কাশ্মীরে পর্যটক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাতে ভারতের একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। এরইমধ্যে ভারতীয় পাঁচটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা দ্য সুইফট সেন্টার পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের মাধ্যমে চলমান উত্তেজনার ভবিষ্যৎ বিশ্লেষণ করেছে।
প্রথম. ১৫ মে’র মধ্যে ১০০ জন সেনা-পুলিশ হতাহতের আশঙ্কা কতটা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত গোলাগুলি অব্যাহত থাকলেও বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সম্ভাবনা কম। সাম্প্রতিক ইতিহাস বলছে, ভারতের সীমিত আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের প্রতিরোধ হলেও উভয় পক্ষই পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ এড়াতে চায়।
দ্বিতীয়. ৩০ জুনের মধ্যে কি ১,০০০ সেনা হতাহত হতে পারেন?
বিশ্লেষণ বলছে, যদি আগামী সপ্তাহে সংঘর্ষের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে বড় হতাহতের সম্ভাবনা কম। তবে যদি ১০০ জনের বেশি হতাহত হন, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় সংঘাতে রূপ নিতে পারে।
তৃতীয়. সিন্ধু পানি চুক্তির ভবিষ্যৎ কী?
২০২৫ সালের মধ্যে আবার কার্যকর হতে পারে সিন্ধু পানি চুক্তি, তবে সেটি নির্ভর করছে চলমান সংঘাতের মাত্রার ওপর। সীমিত সংঘর্ষ হলে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার পথ খোলা থাকবে। বিপরীতে বড় ধরনের সংঘর্ষ হলে এটি দীর্ঘ সময় অচল থাকতে পারে।
চতুর্থ. ভারতের ওষুধ রপ্তানি কি প্রভাবিত হবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতের ওষুধ রপ্তানি বড় ধরনের বিঘ্নের মুখে পড়বে না। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বড় বাজার ভারতের উৎপাদন সক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল। তাই সাময়িক জটিলতা ছাড়া মূলধারার ব্যবসা চলমান থাকবে।
পঞ্চম. পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি কতটা?
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি নিয়েই সবচেয়ে বেশি আশ্বাস দিয়েছেন গবেষকরা—তাদের মতে, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা ‘অত্যন্ত কম’। তবে এর অস্তিত্বই কৌশলগত ভুল হিসাবকে ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
দ্য সুইফট সেন্টারের বিশ্লেষণে বলছে, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেও এখনই পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ বা পরমাণু সংঘর্ষের আশঙ্কা নেই। তবে যেকোনো সময় পরিস্থিতি কৌশলগতভাবে বদলে যেতে পারে, তাই আন্তর্জাতিক মহলের নজর এবং মধ্যস্থতা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে: বাগছাস
- অতর্কিত ঢাবি ও জবির ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত
- শেখ সেলিমের ২১টি বিও অ্যাকাউন্ট ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- আ’লীগকে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টায় বামপন্থীরা: ঢাবি শিবির
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা