ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
উত্তেজনার মধ্যে মোদির সঙ্গে এয়ার চিফ মার্শালের বৈঠক

ডুয়া ডেস্ক: কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। এরই প্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রোববার (৪ মে) এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে হলো যখন তার আগের দিনই মোদি নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে ত্রিপাঠীর সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। যদিও এই বৈঠকগুলো সম্পর্কে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে ২২ এপ্রিলের হামলার পর ভারতের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়েই আলোচনাই হয়েছে।
প্রসঙ্গত ওই দিন দক্ষিণ কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন। তারা সবাই বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পর্যটক ছিলেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটিই কাশ্মীরে বেসামরিকদের ওপর অন্যতম ভয়াবহ হামলা।
এই ঘটনার পর থেকেই ভারত পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে, কূটনৈতিকভাবে যেমন সক্রিয় হয়েছে, তেমনি সামরিক প্রস্তুতিও নিচ্ছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে ভারত। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি চলতি সপ্তাহেই প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন—সশস্ত্র বাহিনীর হাতে পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে প্রতিক্রিয়ার ধরন, সময় ও স্থান নির্ধারণে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, এবং সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানরা।
পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পরই প্রধানমন্ত্রী মোদি ঘোষণা দেন—‘লড়াইকে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে’ এবং অপরাধীদের ‘কল্পনার বাইরে’ শাস্তি দেওয়া হবে। বিশ্লেষকরা একে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে সরাসরি হুঁশিয়ারি বলেই মনে করছেন।
ভারতের পূর্বের প্রতিক্রিয়ার ইতিহাস বলছে, সন্ত্রাসী হামলার পর তারা কঠোর জবাব দিয়েছে। যেমন, ২০১৬ সালের উরি হামলার পর সীমান্ত পেরিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালানো হয়। উভয় ক্ষেত্রেই ভারতীয় বিমানবাহিনীর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে ভারত কৌশলগত ও কূটনৈতিক নানা পদক্ষেপে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান নদীর পানিবণ্টন চুক্তির কিছু ধারা স্থগিতের সিদ্ধান্ত।
যদিও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া বা প্রতিশোধের কোনও সময়সূচি ঘোষণা করা হয়নি, তবে শীর্ষ মহলের গতিবিধি বলছে—জবাব আসতে দেরি হবে না।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংক এমডিবিহীন, নেতৃত্ব সংকট তীব্র
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- নানামুখী চেষ্টার পরও ভেঙে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- ‘বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ডাকাতদের আড্ডা হয়ে গেছে’
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা