ঢাকা, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

গা’জায় ত্রাণবাহী জাহাজে ই’স’রায়েলের হা’মলা

২০২৫ মে ০২ ১৬:১৫:৪৬
গা’জায় ত্রাণবাহী জাহাজে ই’স’রায়েলের হা’মলা

ডুয়া ডেস্ক: ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণবাহী একটি জাহাজে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হামলাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মাল্টার আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায়।

ত্রাণবাহী এই জাহাজটি খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য জরুরি সহায়তা সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিল, যা সরবরাহ করছিল আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা দ্য ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন (FFF)। ইসরায়েলের এই হামলার কারণে, দীর্ঘদিন ধরে মানবিক সংকটে থাকা গাজার জনগণের কষ্ট আরও বেড়েছে।

যদিও এই হামলায় অবশ্য হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। এক বিবৃতিতে ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১২টার দিকে মাল্টার আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা দিয়ে চলমান অবস্থায় ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশনের ত্রাণবাহী জাহাজে সরাসরি হামলা করা হয়।”

এতে আরও বলা হয়, “দু’টি সশস্ত্র ড্রোন জাহাজটির সামনের দিকে আঘাত হানে। এতে জাহাজটির সামনের দিকে আগুন ধরে যায় এবং বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।”

বিবৃতিতে ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন ইসরায়েলের প্রতি কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “আমাদের জাহাজটি ছিল সম্পূর্ণ বেসামরিক ও নিরস্ত্র। গাজার অসহায় ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার ও ত্রাণসামগ্রী ছিল সেখানে। ট্রিপল এফের কয়েকটি সদস্যদেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন সেখানে। এ ধরনের হামলায় তাদের প্রাণহানি ঘটতে পারত।”

এতে আরও বলা হয়, “কোনো কোনো দেশের আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় বেসামরিক নৌযানকে লক্ষ্য করে আঘাত করা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘণ এবং মাল্টার সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান— ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে যে এ ইস্যুতে দেশটির কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া হয়।”

এ হামলার ঘটনায় বিবৃতি প্রদান করেছে মাল্টা সরকার। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জাহাজের মূল ইঞ্জিন ও জেনারেটরে আঘাত লেগেছে। জাহাজটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল, তবে মাল্টার নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড বাহিনীর সহায়তায় রাত ১টা ২৮ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।”

এতে আরও বলা হয়েছে, “জাহাজটিতে মোট ১২ জন ক্রু এবং ৪ জন বেসামরিক যাত্রী ছিলেন। তাদের সবাই অক্ষত রয়েছেন। রাত ২ টা ১৩ মিনিটে তাদের মাল্টার বন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে। জাহাজটি এখনও আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় রয়েছে এবং সেটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

এদিকে হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও মন্ত্রিসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি, কিন্তু কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় পুনরায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এর আগে, ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজার ভেতরে সব ধরনের ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়, এবং সেই নিষেধাজ্ঞা এখনো কার্যকর রয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞা এবং সামরিক অভিযানের ফলে গাজার মানবিক সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

যদিও ইসরায়েল বলছে গাজায় মানবিক সংকটের কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই।সূত্র : এএফপি, ফ্রান্স ২৪

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে