ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
উত্তেজনার মধ্যে আরব সাগরে জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালাল ভারত

ডুয়া ডেস্ক: কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপিয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। এর ফলে আঞ্চলিক যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। এর মধ্যে এবার আরব সাগরে নিজেদের জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নির্ভুল হামলার কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করতে এই মহড়া চালিয়েছে ভারত। বিশ্লেষকদের মতে, কাশ্মীর হামলার পর এই মহড়ার মাধ্যমে ভারত হয়তো তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে (পাকিস্তান) কোনো বার্তা দিতে চাচ্ছে।
মহড়ার পর দেশটির নৌবাহিনী জানিয়েছে, “তারা জাতির সামুদ্রিক স্বার্থরক্ষায় ‘যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায়, যেকোনো উপায়ে’ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।”
নৌবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টের মাধ্যমে সমুদ্রে পরিচালিত মহড়ার ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছে, যেখানে যুদ্ধজাহাজ থেকে জাহাজ ও ভূমিবিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দৃশ্য দেখা যায়। অংশগ্রহণকারী যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে ছিল কলকাতা-ক্লাস ডেস্ট্রয়ার, নীলগিরি এবং ক্রিভাক-ক্লাস ফ্রিগেট।
এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী বলেছে, “ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলো দূরপাল্লার নির্ভুল হামলা চালানোর জন্য কার্যক্ষমতা, সিস্টেম ও ক্রুর প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে এই মহড়া। আমরা সফলভাবে এই মহড়া শেষ করেছি। ভারতীয় নৌবাহিনী জাতির সামুদ্রিক স্বার্থরক্ষায় যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায়, যেকোনো উপায়ে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।”
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই এই ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া অনুষ্ঠিত হলো। জম্মু ও কাশ্মীরে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহতের ঘটনায় ভারত পাকিস্তানি নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিত করেছে। একই সময়ে ভারতের অভিযোগ, নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর পাকিস্তান পক্ষ থেকে একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হচ্ছে, যা ভারতীয় সেনাদের উসকানোর চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে কয়েক দফায় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা পাল্টা জবাব দিচ্ছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ভারতের এসব কার্যক্রমে শুধু পাকিস্তানেই নয়, একটি আঞ্চলিক যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকে নিয়েও তীর্যক ও আপত্তিকর মন্তব্য করছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। ইতোমধ্যেই গুজরাটে এক হাজারের অধিক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। যদিও আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওইসব বাংলাদেশিদের ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে: বাগছাস
- শেখ সেলিমের ২১টি বিও অ্যাকাউন্ট ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- অতর্কিত ঢাবি ও জবির ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা