ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২
দুদকের জালে এসএসএফের সাবেক ডিজি মুজিবর

ডুয়া ডেস্ক : স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মুজিবুর রহমান এবং তার স্ত্রী তাসরিন মুজিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব তাদের মালিকানাধীন রাজধানীর একটি ফ্ল্যাটসহ ৭৯ শতক জমি জব্দের আদেশ দেন। পাশাপাশি তাদের নামে থাকা ৩৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে মোট ১ কোটি ৪৪ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকা রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জব্দ হওয়া সম্পদগুলোর মধ্যে মুজিবুর রহমানের নিজ নামে থাকা মিরপুরের মাটিকাটায় ৪ হাজার ৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় থাকা আরও একটি ফ্ল্যাট ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে থাকা একটি প্লটসহ ভবন রয়েছে।
এছাড়াও খিলক্ষেত, মিরপুর, সাভার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ১১টি দলিলে থাকা ৪২ দশমিক ৩০ কাঠা জমি জব্দ করা হয়েছে।
স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের সাহারা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের বাউনিয়া এলাকায় ৭ দলিলের জমি রয়েছে। অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাবের মধ্যে মুজিবুর রহমানের ২৪ ও তার স্ত্রীর ১০টি রয়েছে।
এদিন দুদকের পক্ষে উপপরিচালক মো. সিরাজুল হক জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, মুজিবুর রহমান সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাত করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
এতে বলা হয়, তিনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অর্জন করে দখলে রাখা এবং বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ টাকা জমা ও উত্তোলনের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুস’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার জন্য তা রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার অভিযোগ রয়েছে।
তিনি অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ অন্যত্র বিক্রয়/হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন। এ কারণে তার নিজ, তার স্ত্রী ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নামীয় বিভিন্ন স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। তাদের স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাবসমূহ অবরুদ্ধ করা না গেলে বিচারকালে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মাথাব্যথার ১১ শেয়ার