ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
দুই মাসে তিন শেয়ারের দ্বিগুণের বেশি মুনাফা

ডুয়া নিউজ: দেশের শেয়ারবাজারে সাম্প্রতিককালে নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানির শেয়ারে ভালো মুনাফা দিয়েছে। এরমধ্যে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএস) তিনটি কোম্পানির শেয়ারে দুই মাসেরও কম সময়ে দ্বিগুণ মুনাফা দিয়েছে। যেগুলো নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
কোম্পানি তিনটি হলো-এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং শাইনপুকুর সিরামিকস।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, মূলত বড় কিছু বিনিয়োগকারীর অতি আগ্রহের কারণে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম এমন বেড়েছে। এছাড়া, শেয়ার দাম বৃদ্ধির কোন মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। তাঁরা সতর্ক করে বলছেন, অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির কারণে যে কোনো সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ার বড় আকারে সংশোধন হতে পারে। তাই বাজারের সামগ্রিক অবস্থা ও ঝুঁকির বিষয় মাথায় রেখে শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল
গত বছরের অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের শেয়ার দাম ফেসভ্যালু অর্থাৎ ১০ টাকার নিচে কেনাবেচা হয়েছে। ২৯ অক্টোবর শেয়ারটির ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর প্রায় ৩ মাস একই দামে শেয়ারটি কেনাবেচা হয়।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শেয়ারটি লেনদেন হয় ৯ টাকা ৮০ পয়সায়। তারপর থেকে শেয়ারটির দামে চমক দেখা যায়। গত ২০ মার্চ টানা দাম বৃদ্ধি পেয়ে শেয়ারটি ৩১ টাকা ৩৫ পয়সায় ওঠে। অর্থাৎ এক মাসের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে শেয়ারটির দাম প্রায় আড়াই গুণ বেশি বেড়েছে। সর্বশেষ শেয়ারটি লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকা ৫০ পয়সায়। বর্তমানে শেয়ারটি ফিডিং করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
তবে দুই বছর আগে কোম্পানিটির শেয়ার ৩৩ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল। কোম্পানিটি ‘বি’ গ্রুপের শেয়ার। সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
খুলনা পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং
দুই বছর আগে খুলনা পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ের শেয়ার ৯ টাকার নিচে কেনাবেচা হয়েছে। এরপর ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে দুর্বল মৌলের শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি শুরু হয়। ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শেয়ারটির দাম ৫৭ টাকায় তোলা হয়। তারপর থেকে ধারাবাহিক পতন। যেটি গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ৭ টাকা ২০ পয়সায় নেমে যায়। এরপর আবারও কারসাজির ছোঁয়া দেখা যায়। এক টানে ৮ টাকার নিচ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি তোলা হয় ৩৩ টাকা ২০ পয়সায়। অর্থাৎ দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে শেয়ারটির দাম তিন গুণের বেশি দাম উঠানো হয়। বর্তমানে চলছে ফিডিং করার প্রক্রিয়া। উত্থান-পতনের খেলায় বিনিয়োগকারীদের কাঁধে ফেলার কৌশলে রয়েছে কারসাজিকারীরা। সর্বশেষ শেয়ারটি ২৫ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিটি ‘জেড’ গ্রুপের শেয়ার। সর্বশেষ ২০২০ সালে ০.২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এররপর থেকে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড থেকে বঞ্চিত রেখেছে। এমনকি কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনও দীর্ঘদিন যাবত প্রকাশ করা হচ্ছে না।
শাইনপুকুর সিরামিকস
২০২৪ সালের ৩ এপ্রিল শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার ৪৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর ২৮ অক্টোবর ফেসভ্যালুর কাছাকাছি ১০ টাকা ৩০ পয়সায় নেমে আসে। তারপর নভেম্বরে ১৫ টাকা পর্যন্ত উঠা-নামা করে। এরপর আবারও ১১ টাকার ঘরে নেমে যায়।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করে শেয়ারটির দামে ঝলক দেখা যায়। ২৩ মার্চ শেয়ারটির দাম ২৭ টাকার ওপরে লেনদেন হয়। সর্বশেষ ক্লোজিং হয়েছে ২৬ টাকা ২০ পয়সায়।
বর্তমানে শেয়ারটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাঁধে চাপানোর নানা গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে। বাজারে জনশ্রুতি রয়েছে, বিএনপি ঘরোনার সাবেক এক সংসদ সদস্য শাইনপুকুর কোম্পানিটি কিনে নিচ্ছেন। তিনিই শেয়ারটির দাম উঠানোর পেছনে কলকাঠি নাড়াচ্ছেন।
কোম্পানিটি ‘বি’ গ্রুপের শেয়ার। সর্বশেষ ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির
- শেয়ারবাজারে হাজার কোটির ক্লাবে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি