ঢাকা, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২
হাসনাত আব্দুল্লাহ
'দেড় দশক ধরে ইসলামি পড়াশোনার ওপর নজরদারি করে রাখা হয়েছিল'
.jpg)
ডুয়া নিউজ : দেড় দশক ধরে ইসলামি পড়াশোনার ওপর নজরদারি করে রাখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যাব। গত দেড় দশক ধরে দেশে ইসলামিক পড়াশোনার ওপর নজরদারি করে রাখা হয়েছিল। মাদ্রাসাগুলোকে দ্বিতীয় গ্রেডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাখা হয়েছে। আলেম-ওলামাদেরকে সব সময় বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে জেলে যেতে হয়েছে। আমরা এ থেকে মুক্ত হয়েছি। আলেম-ওলামারা বাকস্বাধীনতা পেয়েছেন। তারা এখন স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারে।'
আজ বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় কুমিল্লার দেবিদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজ মাঠে জাতীয় নাগরিক পার্টি আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "আমরা ৫ অগাস্ট পরবর্তী বাংলাদেশটাকে একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ হিসেবে তৈরি করতে পেরেছি। দেশে এখনো দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, এরপরও আমরা যারা ধর্মপ্রাণ মুসলিম আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। সাম্প্রদায়িক উসকানি সবসময় আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। আপনারা দেখেছেন সিলেটে আমাদের এক ভাইকে, সাম্প্রদায়িক উসকানির মধ্য দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। ভবিষ্যতের জন্য আপনাদের সবাইকে সতর্ক করে দিচ্ছি- বিভিন্নভাবে আপনাদেরকে ব্যবহার করা হতে পারে। আমরা অতীতে যেভাবে পরম সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছি, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে পরিচয় দিয়েছি, আমরা ভবিষ্যতেও এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিচয় অব্যাহত রাখব।"
এনসিপির এই নেতা বলেন, "আমাদের দেবিদ্বারে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আছেন, আমরা যুগের পর যুগ শতাব্দীর পর শতাব্দী দল-মত নির্বিশেষে, বিভিন্ন ধর্মমত নির্বিশেষে, আমরা সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে দেবিদ্বারে বসবাস করে আসছি। আমি প্রত্যাশা করব আমরা এ সম্প্রীতি যেন ধরে রাখতে পারি। বাংলাদেশে যে প্রধানতম দলটি গড়ে উঠবে, সেটি হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি। কুমিল্লার যতগুলো আসন রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসনটি হচ্ছে দেবিদ্বার। আমরা প্রত্যাশা করব, সে আসনটি, খুব শিগগিরই এনসিপির আসন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেটির জন্য আপনাদের সহায়তা চাই। এখানে শিক্ষক রয়েছেন, আলেম-ওলামা রয়েছেন, খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছেন, সিএনজিচালকরা রয়েছেন, কামার-কুমার, তাঁতি, রাজমিস্ত্রিরা রয়েছেন, আমরা আপনাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিতে চাই, আমরা আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে, পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।"
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- শেয়ারবাজারে চমক দেখাল দুই বহুজাতিক কোম্পানি
- পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৪ কোম্পানি
- নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে: দুদু
- শেয়ার কারসাজিকারীদের শাস্তি ১০ বছর করার প্রস্তাব