ঢাকা, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২

এসএসসি পাসেই ফুল-ফ্রি স্কলারশিপে চীনে পড়ার সুযোগ, জেনে নিন খুঁটিনাটি

২০২৫ ডিসেম্বর ২৭ ১৬:১৩:০৭

এসএসসি পাসেই ফুল-ফ্রি স্কলারশিপে চীনে পড়ার সুযোগ, জেনে নিন খুঁটিনাটি

ডুয়া ডেস্ক: বর্তমান সময়ে উচ্চশিক্ষার জন্য চীন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি স্বপ্নের দেশ, যেখানে তুলনামূলকভাবে সহজেই ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব। শুধু এইচএসসি নয়, এসএসসি পাসের পরই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিভিন্ন কারিগরি কোর্সে আকর্ষণীয় স্কলারশিপ ও মাসিক বৃত্তিসহ পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে চীন।

এসএসসি পাসেই কি চীনে পড়া সম্ভব?

এসএসসি পাসের পর সরাসরি ব্যাচেলর ডিগ্রিতে পূর্ণ স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ সীমিত হলেও শিক্ষার্থীরা ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা বা ভোকেশনাল প্রোগ্রামে সহজেই ভর্তি হতে পারে। সাধারণত এই কোর্সগুলো ১+২ বছর মেয়াদি হয়, যেখানে প্রথম বছর চায়নিজ ভাষা শেখানো হয় এবং পরের দুই বছর মূল বিষয় পড়ানো হয়। ডিপ্লোমা শেষ করে শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ব্যাচেলর প্রোগ্রামেও যোগ দিতে পারে।

যোগ্যতা ও শর্তাবলি:

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি বা সমমান (১০ বছরের শিক্ষা)।

ফলাফল (GPA): সাধারণত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ নম্বর থাকতে হয়। রেজাল্ট যত ভালো, স্কলারশিপের সম্ভাবনা তত বেশি।

বয়স: আবেদনকারীর বয়স ১৬ থেকে ২২ বছরের মধ্যে হতে হবে।

ভাষা: আইইএলটিএস (IELTS) বাধ্যতামূলক নয়। তবে ইংরেজি বা চায়নিজ ভাষায় দক্ষতা থাকলে সুবিধা পাওয়া যায়।

সুযোগ-সুবিধা:

১. ইউরোপ-আমেরিকার তুলনায় অত্যন্ত সাশ্রয়ী খরচ।

২. বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাদেশিক পর্যায়ে প্রচুর স্কলারশিপের সুযোগ।

৩. অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ইন্ডাস্ট্রি-ভিত্তিক কারিগরি শিক্ষা।

৪. প্রথম বছরেই চায়নিজ ভাষা শেখার সুযোগ, যা ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক।

৫. পড়াশোনা শেষে আন্তর্জাতিক বাজারে চাকরির উজ্জ্বল সম্ভাবনা।

খরচের ধারণা:

স্কলারশিপ ছাড়া নিজ খরচে পড়তে চাইলে টিউশন ফি, আবাসন ও জীবনযাপন মিলিয়ে বছরে প্রায় ৩.৫ থেকে ৫.৫ লাখ টাকা লাগতে পারে। তবে স্কলারশিপ পেলে টিউশন ও আবাসন ফি মওকুফ হয়ে যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে মাসিক স্টাইপেন্ডও পাওয়া যায়।

আবেদন ও ভিসা প্রক্রিয়া:

আগ্রহী শিক্ষার্থীদের প্রথমে 'স্টাডি ইন চায়না' পোর্টাল বা সরাসরি পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক অনুমোদন পেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'অফার লেটার' ও 'জেডব্লিউ ২০২' (JW202) ফরম পাঠানো হয়। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ চীনা দূতাবাস বা কনস্যুলেটে দীর্ঘমেয়াদী স্টাডি ভিসার (X1) জন্য আবেদন করতে হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

আবেদনের জন্য পাসপোর্ট (ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদী), সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙিন ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও মার্কশিট (ইংরেজি নোটারাইজড), মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ব্যাংক স্টেটমেন্ট (ন্যূনতম ২,৫০০ মার্কিন ডলার) এবং একটি সুনির্দিষ্ট স্টাডি প্ল্যান বা ব্যক্তিগত বিবৃতি প্রয়োজন।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত