ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২

বিজয় দিবসে বিভাজন ভুলে ঐক্যের আহ্বান তারেক রহমানের

২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ১০:০১:৪৯

বিজয় দিবসে বিভাজন ভুলে ঐক্যের আহ্বান তারেক রহমানের

নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত সব ধরনের বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে বাণীটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

তারেক রহমান বলেন, বর্তমান সময়ে দেশের সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন হলো নির্বিঘ্ন, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী এবং জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। এই ঐতিহাসিক দিনে তিনি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং সবার জীবন সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক এই কামনা করেন।

তারেক রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগকারী মা-বোনদের প্রতিও সশ্রদ্ধ সালাম জানান।

স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহ্বানে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়। জীবন বাজি রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধারাই এই বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। তাই ১৬ ডিসেম্বর জাতির গৌরব, অহংকার ও আত্মত্যাগের এক মহিমান্বিত দিন।

তিনি বলেন, শোষণমুক্ত ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা বারবার ফ্যাসিস্ট শাসনের কারণে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র রুদ্ধ করে মানুষের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতা দমন করা হয়েছে।

তারেক রহমান অভিযোগ করেন, একের পর এক প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। বিরোধী মত দমনে গুম, খুন ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে জনগণের ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন চালানো হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করা অবিসংবাদিত নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে ‘২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এক নিষ্ঠুর একনায়কের পতন ঘটে। এর ফলে দেশে আবারও স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।

বাণীর শেষাংশে তারেক রহমান বলেন, এই ঐতিহাসিক সময়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠাই সময়ের প্রধান দাবি। বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনার পাশাপাশি তিনি দেশবাসীর প্রতি ঐক্য, সহনশীলতা ও মানবিকতার আহ্বান জানান।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত