ঢাকা, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

জামায়াতের বিবৃতি ‘মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর’, প্রত্যাখ্যান এনসিপির

২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ২০:০৬:৫৩

জামায়াতের বিবৃতি ‘মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর’, প্রত্যাখ্যান এনসিপির

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনের বক্তব্যের জেরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দেওয়া বিবৃতিকে ‘অসত্য, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে এনসিপি। দলটির দাবি, জামায়াতের এই বিবৃতি বাস্তবতাবিবর্জিত, রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এবং জনমত বিভ্রান্ত করার একটি স্পষ্ট অপচেষ্টা।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দলের এই কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৬ ডিসেম্বর ন্যাশনাল প্রফেশনালস অ্যালায়েন্সের (এনপিএ) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আখতার হোসেন সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তা ছিল সম্পূর্ণ তথ্যনির্ভর ও দায়িত্বশীল।

এনসিপির দাবি, গত ২৭ নভেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলি চালানো তুষার মণ্ডলকে পুলিশ অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে যে তুষার মণ্ডল জামায়াতে ইসলামীর একজন কর্মী। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকার পরেও জামায়াত বাস্তবতা অস্বীকার করে সত্য গোপন ও দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।

বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতি উস্কে দিচ্ছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গ্রহণ না করে দলটি পুরোনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির ‘নতুন খেলোয়াড়’ হিসেবে আবির্ভূত হতে চাইছে, যা দেশের জন্য অশুভ।

এনসিপি স্পষ্ট জানিয়েছে, সহিংসতা ও অস্ত্রের রাজনীতি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিপন্থী। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে জামায়াতকে সত্য মেনে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত