ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

'কীটনাশক ব্যবহারে অস্তিত্ব সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত'

২০২৫ নভেম্বর ২৪ ২২:২২:৪১

'কীটনাশক ব্যবহারে অস্তিত্ব সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত'

নিজস্ব প্রতিবেদক:কৃষিকাজে যথেচ্ছ ও নির্বিচারে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত অস্তিত্বের ঝুঁকিতে পড়ছে বলে সতর্ক করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, কীটনাশকের এই প্রভাবকে কেবল কৃষি খাতের সমস্যা হিসেবে দেখলে চলবে না; বরং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ নীতিতেও কীটনাশক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের মৌলিক নীতিমালা: বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক এক পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাগ্রোইকোলজি কোয়ালিশন বাংলাদেশ, পিকেএসএফ, ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে, ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও এফআইভিডিবি যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘মাছ ধরার নিয়ম মানাই যথেষ্ট নয়, প্রাকৃতিক জলাশয়ের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করাও এখন সময়ের দাবি। হাওর-বাওরের অভয়াশ্রম রক্ষায় দায়িত্বজ্ঞানহীন পর্যটন বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যটন নীতিতে সুস্পষ্ট নিয়ন্ত্রণ না থাকলে অভয়াশ্রম রক্ষার উদ্যোগ সফল হবে না।’

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদনে কৃষি খাত যতটা গুরুত্ব পায়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত ততটা পায় না। এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পাশাপাশি বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মাছ মারা যাওয়ার ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি শি জিয়াওকুন ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। বক্তারা কীটনাশক, জলবায়ু পরিবর্তন ও অপরিকল্পিত পর্যটনকে এই খাতের বড় সংকট হিসেবে চিহ্নিত করেন।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত