ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২

জেনে নিন শীতে গোসলের ভয় কাটানোর কৌশল

২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১৪:৪১:৩৩

জেনে নিন শীতে গোসলের ভয় কাটানোর কৌশল

ডুয়া ডেস্ক: শীত নামলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় গোসল নামের সহজ কাজটিকে। সকালবেলা পানি ছোঁয়ার নাম শুনলেই অনেকের গা শিউরে ওঠে। ঠান্ডার দাপটে অনেকেই গোসলকে দিনের রুটিন থেকে বাদ দিতে শুরু করেন। অথচ এই অভ্যাসই ত্বক, স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে একটু সচেতনতা আর কৌশল জানলে শীতের মধ্যেও গোসল হয়ে উঠতে পারে স্বস্তিদায়ক এমনকি উপভোগ্যও।

হালকা গরম পানির আরাম

শীতে গোসলের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো হালকা গরম পানি ব্যবহার। ঠান্ডা পানি শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমিয়ে দেয়, ত্বক শুষ্ক করে তোলে। আবার অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকের স্বাভাবিক তেল নষ্ট করে চুলকানি ও র‍্যাশ বাড়াতে পারে। তাই মাঝামাঝি উষ্ণতাই সেরা।

অল্প সময়ের গোসলই যথেষ্ট

শীতকালে লম্বা সময় ধরে গোসলের প্রয়োজন নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০–১২ মিনিটের মধ্যে গোসল শেষ হলে ঠান্ডা কম লাগে এবং ত্বকের ক্ষতিও কম হয়। পানি অপচয়ও রোধ হয়।

গোসলের আগে ত্বকে তেল

গোসলের কয়েক মিনিট আগে নারকেল বা অলিভ অয়েল লাগালে ত্বকে এক ধরনের প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি হয়। ফলে পানির সংস্পর্শে ত্বক অতটা রুক্ষ হয় না। যাদের স্কিন শীতে বেশি ফাটে, তাদের জন্য এটি দারুণ কার্যকর।

ভোরের বদলে দুপুর

শীতের সকালে গোসল করতে না চাইলে দুপুর বেছে নিতে পারেন। এ সময় শরীর স্বাভাবিকভাবেই তুলনামূলক উষ্ণ থাকে, ফলে গোসল আরামদায়ক হয় এবং ঠান্ডা লাগার ঝুঁকিও কমে যায়।

বাথরুমে ঠান্ডা বাতাস আটকান

অনেকে গোসলের ভয় পান মূলত বাথরুমে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই ঠান্ডা বাতাসের ধাক্কায়। জানালা বা ভেন্টিলেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে পারেন। চাইলে উষ্ণ ম্যাট বা গরম আলো ব্যবহার করে বাথরুমের পরিবেশ উষ্ণ রাখা যায়।

শরীরকে ধীরে ধীরে প্রস্তুত করুন

গোসল শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই মাথা বা কাঁধে পানি ঢাললে শরীর শকে চলে যেতে পারে। তাই প্রথমে হাত–পা ভিজিয়ে ধীরে ধীরে গোসল শুরু করুন।

গোসলের পরই ময়েশ্চারাইজার

শীতকালে ত্বকের পানি খুব দ্রুত উবে যায়। তাই গোসলের ২-৩ মিনিটের মধ্যেই ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বক দীর্ঘক্ষণ আর্দ্র থাকে। গ্লিসারিন, শিয়া বাটার বা হাইড্রেটিং লোশন বিশেষভাবে উপকারী।

যারা শীতে গোসল করেন না

সবারই শীতে গোসল করতে আলসেমি লাগে। তবে পুরোপুরি গোসল বাদ দিলে সমস্যা তৈরি হয়। তাই অন্তত একদিন পরপর গরম পানিতে ছোট গোসল করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।গোসল সম্ভব না হলে ন্যূনতম হট টাওয়েল বাথ করুন গরম ভেজা তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে নিন। মুখ, বগল, গলা, পা এই প্রধান অংশগুলো পরিষ্কার রাখা জরুরি। কারণ ঘাম কম হলেও ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া জমে ত্বকের ঝুঁকি বাড়ে।

গোসলকে উপভোগ্য করতে ছোট কৌশল

গোসলের আগে মাত্র দুই মিনিট হালকা ব্যায়াম করলে শরীর গরম হয়ে গিয়ে গোসল সহজ হয়। প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে রাখলে গোসলের সময় কমে। নরম, উষ্ণ আলো বাথরুমের পরিবেশকে আরামদায়ক করে তোলে এবং ঠান্ডার অনুভূতি কমায়।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত