ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

সহিংসতা দমনে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

২০২৫ নভেম্বর ১৩ ০৮:৩৭:৪৮

সহিংসতা দমনে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশজুড়ে উত্তেজনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা ঘটছে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির নামে চলছে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রম। এতে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পরিবহনকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ ও ভীতি।

সহিংসতার শঙ্কায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনা মোতায়েনের জন্য সেনা সদরে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার (১২ নভেম্বর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি সারাদেশেই কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সহিংসতা বা নাশকতার যেকোনো অপচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে। একইসঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও সেদিন মাঠে থেকে সহিংসতা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রসিকিউশন মোট পাঁচটি অভিযোগ দাখিল করে। গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এর মধ্যে ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা তথ্যসূত্র, ৪ হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা দালিলিক প্রমাণ ও জব্দতালিকা এবং ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা শহীদদের তালিকার বিবরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই মামলায় গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। বিচার চলাকালে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্‌ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রুভার) হন এবং ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।

গত ২৩ অক্টোবর মামলাটির শুনানি শেষ হয়। সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। পরে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামও একই দাবি করেন।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন আসামিদের খালাস চান। এরপর ট্রাইব্যুনাল জানায়, মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হবে আগামী ১৩ নভেম্বর।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত