ঢাকা, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

গা’জায় কাগজে যু’দ্ধবিরতি, বাস্তবে চলছে নি’পীড়ন

২০২৫ নভেম্বর ১২ ১২:২২:৪৫

গা’জায় কাগজে যু’দ্ধবিরতি, বাস্তবে চলছে নি’পীড়ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার আওতায় গাজায় চলছে যুদ্ধবিরতি। তবে যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনিদের জীবনে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন আসেনি। গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দা মানার জেন্দিয়া সেই বাস্তবতার জীবন্ত উদাহরণ। যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে ১১ অক্টোবর, কিন্তু এখনো বাস্তুচ্যুত অবস্থায় রয়েছেন তিনি। পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহ এলাকায়।

জেন্দিয়া বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও শুজাইয়ার বেশিরভাগ এলাকা এখনো ইসরাইলি বাহিনীর দখলে। তিনি জানান, যুদ্ধবিরতির দুই সপ্তাহ পরই তাদের আশ্রয়স্থলে ভয়াবহ বোমা হামলা চালানো হয়, যেখানে প্রাণ হারান তার বোন। বোনের স্বামী যুদ্ধের আগেই নিহত হন, ফলে বোনের সন্তানদের দেখভালের দায়িত্বও এখন তার কাঁধে। জেন্দিয়া জানান, গাজা সিটিতে হামলা বাড়ার সময় তার বোন সন্তানদের নিয়ে সেন্ট্রাল গাজায় একটি তাঁবুতে আশ্রয় নেন, কিন্তু সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বলেন, “গাজায় গণহত্যা কেবল গণমাধ্যমেই শেষ হয়েছে, বাস্তবে তা এখনো চলছে। মিডিয়া নীরব, কিন্তু আমাদের জন্য যুদ্ধ প্রতিদিন নতুন করে শুরু হয়।”

জেন্দিয়ার মতো অভিজ্ঞতা গাজার হাজারো মানুষের। তাদের মতে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও গণহত্যা থামেনি; বরং নতুন আকারে চলছে। একদিকে ইসরাইলি স্থল অভিযান, অন্যদিকে ত্রাণ প্রবেশে বাধা—এই দুই চাপে ফিলিস্তিনিদের টিকে থাকা এখন ভয়াবহ সংকটে।

সূত্র জানায়, গাজায় প্রতিদিনই নতুন হামলার ঘটনা ঘটছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও অন্তত ২৪২ জন নিহত এবং ৬২০ জন আহত হয়েছেন। ইসরাইলি ড্রোনের গর্জন ও গোলাবর্ষণের আতঙ্কে ঘুমাতে পারছে না সাধারণ মানুষ। অবরোধের কারণে খাদ্য ও ওষুধের সংকটও আগের মতোই তীব্র। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন ৬০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের কথা থাকলেও, বাস্তবে গড়ে মাত্র ১৫০টি ট্রাক ঢুকছে গাজায়—তার বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। ফলে জরুরি খাদ্য ও ওষুধের মজুত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, আর মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হচ্ছে।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত