ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২
জুলাই সনদ না মানলে এই দেশে কোন ভোট হবে না: ডা. শফিকুর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক :বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া ২০২৬ সালে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। দেশের জনগণ জুলাই সনদকে শুধু একটি রাজনৈতিক ঘোষণাপত্র নয়, বরং বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর ভিত্তি হিসেবে দেখতে চায়। এজন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এই সনদের আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা আটটি রাজনৈতিক দলের ডাকা এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান। সমাবেশে হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন, যারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও অবিলম্বে গণভোটের দাবিতে স্লোগান দেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। এই আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। জনগণের রক্ত, ত্যাগ ও আন্দোলনের ফসল জুলাই বিপ্লবকে কোনোভাবে অবমূল্যায়ন করা যাবে না।” তিনি আরও বলেন, “দেশের মুক্তিকামী মানুষের একটাই কথা—জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে। গণভোটের ব্যাপারে সকল দল একমত। তাহলে তারিখ নিয়ে এই বায়নাবাজি কেন?”
তিনি বলেন, “আমরা চাই একটি মুক্ত, স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশের ভিত্তি হবে জুলাই সনদ। জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নিজের হাতে নির্ধারণ করতে চায়, কোনো একক গোষ্ঠীর নির্দেশে নয়।” তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, “জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি না দিলে দেশে নতুন করে আন্দোলনের জোয়ার উঠবে, এবং সেই আন্দোলন হবে জনগণের হাত ধরে।”
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া দেশে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব নয়। তারা বলেন, এই সনদে ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে। এর মধ্যে রয়েছে—(১) জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, (২) নভেম্বর মাসেই গণভোট আয়োজন, (৩) জাতীয় নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, (৪) নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, এবং (৫) রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাধীন কর্মকাণ্ডের নিশ্চয়তা প্রদান।
এই সমাবেশে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা আটটি রাজনৈতিক দল যৌথভাবে অংশ নেয়। দলগুলো হলো—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (এনডিপি)।
সমাবেশস্থলে নিরাপত্তা ছিল কঠোর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পল্টন ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করে। সমাবেশ শেষে অংশগ্রহণকারী দলগুলো ঘোষণা দেয় যে, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং তারা শিগগিরই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
ডুয়া/নয়ন
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- নতুন মার্জিন নীতিতে কারা সুবিধা পাবেন, কারা হারাবেন?
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: কবে, কখন, কোথায়-যেভবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- বাংলাদেশ বনাম ভারত: খেলাটি কবে, কোথায়, কখন-জানুন সময়সূচি
- শেয়ারবাজারে নতুন মার্জিন বিধিমালা জারি করল বিএসইসি
- নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন(LIVE)
- আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঝড়ো শুরু, দেখুন (live)
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ৬ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা
- শিক্ষাবৃত্তি: প্রতি মাসে পাবে ৩ হাজার টাকা, আবেদন করবেন যেভাবে
- ‘নো ডিভিডেন্ড’- এর বদনাম ঘুচাল বস্ত্র খাতের তিন কোম্পানি
- পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন? জানালেন গভর্নর
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার শূন্য ঘোষণা নিয়ে যা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড