ঢাকা, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২

আলোচনা সভার আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিলেন সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু

২০২৫ নভেম্বর ১০ ১২:১৭:২২

আলোচনা সভার আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিলেন সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু

নিজস্ব প্রতিবেদক :বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৯ নভেম্বর) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় গিয়ে তাঁর হাতে আমন্ত্রণপত্রটি তুলে দেন তিনি।

সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তিনি এই আমন্ত্রণপত্রটি পৌঁছে দেন। তিনি আরও বলেন, “আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সব সময়ই ৭ নভেম্বরের চেতনায় বিশ্বাসী। এই দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরতে আমরা বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আশা করছি, বেগম জিয়া শারীরিকভাবে সক্ষম হলে তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।”

আগামী ১২ নভেম্বর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা, জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা সভায় উপস্থিত থাকবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, এবারের অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিএনপি বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে। সজ্জা, নিরাপত্তা এবং গণমাধ্যম কাভারেজের জন্য একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রচারের জন্য বিশেষ অডিও-ভিজ্যুয়াল ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক চেতনা থেকেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ভিত্তি তৈরি হয়েছিল। সেই চেতনা থেকেই জিয়াউর রহমান “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ” ধারণা প্রবর্তন করেন, যা পরবর্তীতে বিএনপির আদর্শে রূপ নেয়।

এছাড়া ৭ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে দলটি দেশব্যাপী এক সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—দোয়া মাহফিল, র‌্যালি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা, শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।

বিএনপি নেতারা আশা করছেন, বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে কিছুটা সুস্থ থাকলে দীর্ঘদিন পর এই অনুষ্ঠানেই তিনি গণমাধ্যমের সামনে আসবেন। এতে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে এবং জাতীয় রাজনীতিতেও ইতিবাচক বার্তা যাবে বলে মনে করছে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত