ঢাকা, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২
ইস্তানবুলে পাকিস্তান-আফগান সংলাপ ব্যর্থ, কোনো চুক্তি হয়নি
ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তৃতীয় শান্তি সংলাপ কোনো চূড়ান্ত চুক্তি বা লিখিত সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ বিষয়টি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে নিশ্চিত করেছেন এবং সংলাপকে ‘অচলাবস্থা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, একটা পরিপূর্ণ অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আমাদের সংলাপ অনির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
গত বৃহস্পতিবার ইস্তানবুলে শুরু হওয়া তৃতীয় দফার সংলাপে দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন। সংলাপের মাধ্যমে শান্তি চুক্তি করার পরিকল্পনা ছিল, তবে তা কার্যকর হয়নি। এই প্রক্রিয়ায় সংলাপ প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে সংলাপের টেবিলে বসাতে কাতার ও তুরস্ক ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। খাজা আসিফ সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন, আমরা সন্ত্রাসের মূল উৎস ধ্বংস করার জন্য আফগানিস্তানের সহযোগিতা চেয়েছিলাম। কাতার ও তুরস্ক আমাদের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। আফগান প্রতিনিধিরাও প্রাথমিকভাবে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছিল। কিন্তু শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময় তারা পিছিয়ে গেল।
তিনি আরও বলেন, তারা চায় যে আমরা তাদের মৌখিক প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখি। কিন্তু আন্তর্জাতিক আলোচনায় চুক্তি বা সমঝোতা ছাড়া এটি সম্ভব নয়।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সম্পর্কের তিক্ততার মূল কারণ হল তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। তালেবানপন্থি এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর ধারাবাহিক হামলায় পাকিস্তানে গত কয়েক বছরে হাজার হাজার সামরিক ও বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ২০২১ সালে তালেবান বাহিনী কাবুল দখল করার পর থেকে গোষ্ঠীটি আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া রাজ্য টিটিপির প্রধান ঘাঁটি। তাদের মূল লক্ষ্য এই অঞ্চলে আফগানিস্তানের আদলে একটি কট্টর ইসলামপন্থি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আফগানিস্তান থেকে এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ পাকিস্তান বারবার করেছে, তবে কাবুল বরাবরই তা অস্বীকার করেছে।
গত ৯ অক্টোবর পাকিস্তান সেনাবাহিনী কাবুলে বিমান অভিযান চালিয়ে টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদ এবং অন্যান্য নেতাদের হত্যা করে। ২ দিন পর আফগান সেনাবাহিনী সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি চৌকিগুলোতে হামলা চালায়, যা পাকিস্তানের পাল্টা জবাবের সঙ্গে মিলিত হয়ে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সংঘাতের রূপ নেয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সংঘাতে আফগান সেনা ২০০ জন এবং পাকিস্তানি সেনা ২৩ জন নিহত হয়।
চার দিন চলা সংঘাতের পর ১৫ অক্টোবর দুই দেশ ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির মধ্যে দোহায় কাতারের মাধ্যমে সংলাপ শুরু করে। পরে সংলাপের স্থানান্তর হয় তুরস্কের ইস্তানবুলে। তবে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কর্মকর্তারাও হতাশ হন।
খাজা আসিফ বলেন, “আমাদের অবস্থান স্পষ্ট ও দৃঢ়। আমরা চাইছিলাম আফগান ভূখণ্ড যেন পাকিস্তানে হামলার জন্য ব্যবহার না হয়। কাবুল আমাদের এই প্রতিশ্রুতি দিতে পারেনি। ভবিষ্যতে যদি আফগান ভূখণ্ড থেকে পাকিস্তানে হামলা ঘটে, আমরা উপযুক্ত জবাব দেব।
কেএমএ
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল: কবে, কখন-যেভাবে দেখবেন লাইভ
- পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারবাজারে নতুন মার্জিন বিধিমালা জারি করল বিএসইসি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ফার্মা খাতের ১৮ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- আর্জেন্টিনা বনাম অ্যাঙ্গোলা: রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পাবে মেসিরা
- নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন(LIVE)
- নিয়ন্ত্রক সংস্থার টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত ব্যাংক ও শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বস্ত্র খাতের ২১ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ৬ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা
- ‘নো ডিভিডেন্ড’- এর বদনাম ঘুচাল বস্ত্র খাতের তিন কোম্পানি
- পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন? জানালেন গভর্নর
- হরলিকসের জোয়ারে ইউনিলিভারের মুনাফায় দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন